২০১৮ থেকে ২০২০ এই তিন বছরে দেশে বেকারত্বের জ্বালায় আত্মঘাতী হয়েছে ৯১৪০ জন৷ বছরে দু-কোটি চাকরীর আশ্বাস দিয়ে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি৷ গত তিন বছরে নানা অর্থনৈতিক কারণে দেশে আত্মঘাতী হয়েছে ২৫ হাজারের বেশী মানুষ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সংসদে এই তথ্য দিয়েছে৷ ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর প্রতিবেদন থেকে নেওয়া এই তথ্য সংসদে তুলে ধরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ এই তথ্য থেকে প্রকাশ ২০১৮ সালে বেকারত্বের জ্বালায় দেশে আত্মঘাতী হয় ২৭৪১ জন, ২০১৯ সালে ২৮৫১ জন ও ২০২০ সালে তিন হাজারের ঘর পার করে আত্মঘাতী হয় ৩৫৪৮ জন৷ দেনা দেউলিয়ায় ওই সময় আত্মহত্যা করে ৪৯৭০জন, ৫৯০৮ জন ও ৫২১৩ জন৷ সরকার ও শাসকদল যদিও কোভিডকেই দায়ী করছে এই আর্থিক বিপর্যয়ের জন্যে৷ কিন্ত ২০১৮ ও ২০১৯ সালে কোভিড যখন ছিল না তখনও আর্থিক কারণে আত্মঘাতী হওয়ার সংখ্যাটা কম নয়৷ বিশেষজ্ঞদের মত মোদী সরকারের ভ্রান্ত অর্থনীতিও এই বিপর্যয়ের কারণ৷ স্বভাবতই প্রশ্ণ উঠছে মোদিজীর বছরে দু-কোটি চাকরীর প্রতিশ্রুতি নিয়েও৷ স্বরাষ্ট্র দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সমস্যা সমাধানে সরকারের উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনা ও ন্যাশনাল সেন্ট্রাল হেলথ প্রোগ্রাম-এর লক্ষ্যই আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা৷ তবে এর সাফল্য নিয়েও প্রশ্ণ উঠছে নীতি আয়োগের তথ্যে৷ নীতি আয়োগ ২০২১শে জানায় গত ৪৫ বছরে দেশে বেকারত্ব সর্বকালীন রেকর্ড করেছে৷ মোদী সরকার অবশ্য এসব প্রসঙ্গ চাপা দিতে বিরোধীদের আক্রমণের পথেই আছে৷ উত্তরপ্রদেশে ঠিক প্রথম দফার বোট শুরু হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে এই ধরণের আর্থিক বিপর্যয়ের তথ্য মোদি সরকারকে ও উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারকে বিপদে ফেলতে পারে৷