গত ১৬ই আগষ্ট বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্নড় বিভাগে ‘আধ্যাত্মিকতা, বিজ্ঞান ও শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তীজী নব্যমানবতাবাদ’ বিষয়ে এক মনোজ্ঞ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই আলোচনা সভায় ৬১ জনের অধিক কন্নড় বিভাগের অধ্যাপক ও ছাত্র যোগদান করেন৷
কন্নড় বিভাগের ডাইরেক্টর ডাঃ সুমিত্রা দেবী, অধ্যাপক গঙ্গাধর, অধ্যাপক চিথাইয়া, অধ্যাপক হেমলতা, ডঃ কে. এ. ভাট, আচার্য্য শুশ্রুতানন্দ অবধূত প্রমুখ এই আলোচনা প্রমুখ এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন৷ এই সভায় আচার্য দিব্যরূপানন্দ অবধূত আনন্দমার্গের যুক্তি ও বিজ্ঞানসম্মত আধ্যাত্মিক দর্শন, আনন্দদমার্গের অষ্টাঙ্গিক যোগসাধনা ও নব্যমানবতাবাদের ওপর বক্তব্য রাখেন৷ তিনি মানবসমাজে আনন্দমূর্ত্তিজীর বহুমুখী অবদানের ওপর আলোকপাত করেন৷ তিনি বলেন, আনন্দমার্গের দর্শন ও সাধনা যুক্তি ও বিজ্ঞানসম্মত৷ কোনরকম ডগমা তথা অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারকে এখানে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না৷ তিনি বলেন, শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মতে মানবসমাজ এক ও অবিভাজ্য৷ তিনি কোনও প্রকার জিও সেণ্টিমেণ্ট, সোসিও সেণ্টিমেণ্টকে প্রশ্রয় দেন না৷ তিনি বলেন, তথাকথিত মানবতাবাদও অসার, কারণ সর্বমানবকে ভালবাসার পেছনে যে মূল আধ্যাত্মিক প্রেরণা তার অভাব থাকায় মানবতাবাদও শেষ পর্যন্ত মেকি মানবতাবাদে পরিণত হয়৷ তিনি বলেন, মানবতাবাদের যে মাধুর্য তাকে সমস্ত প্রাণী ও উদ্ভিদের মধ্যে তথা জড় চেতন সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে৷ আর বাস্তবে তা সম্ভব হয় তখন যখন মানুষ আধ্যাত্মিকতাকে জীবনচর্যা মেনে শেষ পর্যন্ত আধ্যাত্মিকতাকে মিশন হিসেবে গ্রহণ করে৷ আচার্য দিব্যচেতনানন্দজী অষ্টাঙ্গিক যোগসাধনার মধ্যে দৈহিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশে ঘটিয়ে সর্বজীবের কল্যাণ সাধনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন৷ ডঃ কে. এ. ভাট আচার্য দিব্যচেতনানন্দজীর ভাষণকে কন্নড় ভাষায় অনুবাদ করে বিষয়টিকে প্রাঞ্জলভাবে সবাইকে বুঝিয়ে দেন৷ উপস্থিত অধ্যাপক ও ছাত্ররা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী চিন্তাধারা ও তাঁর বহুমুখী অবদানের কথা শুণে অভিভূত হয়ে যান৷ তাঁরা মার্গের অনেক পুস্তকও ক্রয় করেন৷