পশ্চিমবঙ্গের বাঙালী নেতা-নেত্রীরা যে কীভাবে বাঙলাভাঙ্গার চক্রান্তে লিপ্ত, তা ভাবলেও বিস্মিত হতে হয়৷ বাঙলার বিরুদ্ধের বিজেপির বাঙালীদের কার্যকলাপ ইতিহাসের মীরজাফরকে স্মরণ করিয়ে দেয়৷
বিমল গুরুং যেখানে দার্জিলিংয়ে ১০৪ দিন বন্ধ্ করিয়ে থানা, ষ্টেশন, সরকারী অফিস, বাস ও বিভিন্ন সরকারী ভবনে অগ্ণিসংযোগ করে, চীনা মদতে চরম দেশদ্রোহিতার পরিচয় দিল, আর তাঁর এই জনবিরোধী হিংসাত্মক কার্যকলাপে যখন তারই মোর্র্চর সদস্যরাসহ পাহাড়ের মানুষজন তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে পাহাড়ে শাস্তি ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর, তখন বিজেপি রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ পাহাড়ে গিয়ে গুরুং-এর হিংসাত্মক কার্যকলাপকে ও বাঙলাভাঙার চক্রান্তকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে এলেন৷ এটা বাঙলার বিরুদ্ধে তাঁর চরম বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কি! তাঁর অনুসরণ তাঁর দলের সদস্যরাও যেভাবে রাস্তায় নেমে গুরুংয়ের হয়ে ওকালতি করলেন, তাতে বাঙলার প্রতি বিজেপি দলের এই বিশ্বাঘাতকতাকে বাঙালীরা মোটেই ক্ষমা করবে না৷
দার্জিলিংয়ের গোর্র্খল্যান্ড ইস্যুতে কেন্দ্রকে নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবীও বিশ্বাঘাতকতারই প্রমাণ৷ দার্জিলিং যেখানে বাঙলার অবিচ্ছেদ্য অ৷, আর নেপালীরাও মূলতঃ যখন বহিরাগত ও অনুপ্রবেশকারী সেখানে গোর্র্খল্যান্ডের পক্ষে ওকালতি করা কেবল বাঙলার বিরুদ্ধেই বিশ্বাসঘাতকতা নয়, গোটা দেশের নিরাপত্তাকেও প্রশ্ণ চিহ্ণের মুখে ঠেলে দেওয়া৷ মুখে জাতীয়তাবাদী পার্টি বলে বললেও তাদের এই কার্যকলাপ জাতীয়তা বিরোধী৷ এটা অত্যন্ত স্পষ্ট যে গুরুং-এর আন্দোলনের পেছনে চীনের মদত আছে আর বিনা স্বার্থে যে চীন গুরুংকে মদত দিচ্ছে না এটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়৷