বিকৃত বাংলা বানান ইচ্ছাকৃত ভুল---প্রতিবাদে আমরা বাঙালী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

দমদমের সেন্ট স্টিফেন্স স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা ভাষার পরীক্ষায় প্রথম থেকে শেষ অবধি ভুলে ভরা বাংলা বানান!! এইরকম ভুল বাংলা বানান শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষা সম্পর্কে অবজ্ঞা অনীহা বোধ সৃষ্টির অভিযোগ তুলে স্কুল কতৃপক্ষকে স্মারকলিপি দিল ‘আমরা বাঙালী’ সংগঠন৷ সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস বলেন, শিক্ষা আনে চেতনা, চেতনা আনে বিপ্লব৷ শিক্ষার অপরিহার‌্য অঙ্গ মাতৃভাষা৷ বাঙালীর মাতৃভাষা বাংলা ভাষার বিকৃতি ঘটালো দমদম সেন্ট স্টিফেন্স স্কুল৷ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার প্রশ্ণপত্রে বিকৃত তথা ভুলে ভরা বাংলা বানানে৷ এর প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক পথে এই স্কুল কতৃপক্ষ কে স্মারকপত্র দেওয়ার কথা বললে এদের দ্বাররক্ষীরা আমাদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করে ফলে আমরা এই বিক্ষোভের আয়োজন করতে বাধ্য হই৷ আমরা পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, হতে পারে এই সেন্ট স্টিফেন্স স্কুল খ্রীস্টান মিশনারী স্কুল৷ খ্রীষ্টধর্মের রীতিনীতি নিয়ে আমাদের কোন মাথাব্যথা নেই, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বুকে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী বাঙালীর মাতৃভাষার বিকৃতি করা, ভুল বাংলা শিখিয়ে বাঙালী শিশু মনে বাংলা ভাষা সম্পর্কে অবজ্ঞা, অবহেলার মনোভাব তৈরী করার কুচক্রান্ত মেনে নেব না৷ এই ভাবে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বাংলা ভাষা, বাংলা সংস্কৃতির অসম্মান হতে দেওয়া উচিত নয়৷ দেশের জাতীয় সঙ্গীত এই বাংলা ভাষাতেই রচিত, এই বাংলা ভাষাতেই রচনা করে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতবর্ষে প্রথম নোবেল পুরস্কার এনে দেন৷ রাষ্ট্রসঙ্ঘ আমাদের মাতৃভাষা বাংলা ভাষাকে পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম ভাষার স্বীকৃতি প্রদান করেছে৷ বাঙালীর প্রাণের ভাষা বাংলা ভাষার চরম অবমাননা ঘটিয়েছে দমদম সেন্ট স্টিফেন্স স্কুল৷ আমাদের দাবী অবিলম্বে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং এই বাংলা ভাষার অবমাননার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে৷এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগণা জেলা সচিব বাপী পাল, সমতট সাংগঠনিক সচিব জয়ন্ত দাশ, অরূপ মজুমদার, মিন্টু বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় প্রকাশন সচিব প্রণতি পাল,নমিতা দেবী, সুবোধ কর, গোপাল রায় চৌধুরী, সুশীল জানা প্রমুখ