বিশ্ব নারীদিবসে গার্লস প্রাউটিষ্টের শহর পরিক্রমা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

কলকাতা ঃ গত ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতায় গার্লস্‌ প্রাউটিষ্টের পক্ষ থেকে নারীদের ন্যায্য অধিকার সম্বলিত বিভিন্ন পোষ্টার ও ব্যানার সহ একটি সুসজ্জিত ট্যাবলো বের হয়৷ এই ট্যাবলোটি গার্লস্‌ প্রাউটিষ্টের অফিস থেকে বেরিয়ে রুবি,গড়িয়াহাট, দেশপ্রিয়পার্ক,রাসবিহারী থেকে হাজরা,নেতাজী ভবন হয়ে হাতিবাগানে এসে  পৌঁছায়৷ এইসব স্থানে ট্যাবলো থামিয়ে পথসভা করা হয়৷ হাতিবাগান থেকে মিছিলে পায়ে হেঁটে গার্লস প্রাউটিষ্টদের সদস্যরা শ্যামবাজারে পৌঁছায় সেখানে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই সভাগুলিতে বক্তব্য রাখেন শ্রীমতী সাগরিকা পাল, শ্রীমতী গোপা শীল, শ্রীমতী নমিতা বিশ্বাস, অনিতা চন্দ, অবধূতিকা আনন্দ গতিময়া আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ অন্বেষা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দনিরুক্তা আচার্যা প্রমুখ৷ বিভিন্ন বক্তা নারীসমাজের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন ও প্রাউটতত্ত্বের প্রয়োগের তার সমাধানের কথা বলেন৷

শিলচর ঃ আনন্দমার্গ মহিলা কল্যাণ বিভাগ ও গার্লস প্রাউটিষ্টের উদ্যোগে একটি মিছিল শিলচর শহরের ক্ষুদিরাম মূর্ত্তির পাদদেশ থেকে বের হয়ে বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে বিজয় সংঘ ক্লাবের মাঠে পৌঁছায়৷ সেখানে  অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন অর্পণা দেব, অনন্যা দাস, রুবি দাস, স্বপ্ণা রায়,অবধূতিকা আনন্দ সুচরিতা আচার্যা৷ বক্তারা বর্তমান পুঁজিবাদী শাসনব্যবস্থায় নারীর প্রতি অন্যায় অবিচার হচ্ছে ও নারী যে আজও সামাজিক কু-প্রথা ও পণপ্রথার বলি তার করুণচিত্র তুলে ধরেন৷ তারা বলেন--- একমাত্র আনন্দমার্গ দর্শনে ও ‘প্রাউট’ তত্ত্বে  নারী পুরুষকে সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে৷ একমাত্র প্রাউটে বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্রের বাস্তবায়নের মাধ্যমেই নারীর প্রতি সমস্ত অন্যায় অবিচার বন্ধ করা যাবে ও নারী পুরুষের বৈষম্য দূর হবে৷ তাই মানুষ যত শীঘ্র প্রাউট দর্শনকে জানবে বুঝবে ও প্রাউটের বাস্তবায়নে এগিয়ে আসবে তবেই সমাজে সার্বিক কল্যাণ সম্ভব হবে৷

 ত্রিপুরা, আগরতলা ঃ গালর্স প্রাউটিষ্ট ত্রিপুরা রাজ্য শাখার পক্ষ থেকে আগরতলা শহরে বিশ্ব নারী দিবস পালন করা হয়৷ কলেজটিলা থেকে একটি সুসজ্জিত শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে শকুন্তলা রোডে এসে পৌঁছায়৷ সেখানে একটি সভায় বিভিন্ন বক্তা বর্তমান আর্থ সামাজিক পরিস্থিতিতে নারীর দুরবস্থার কথা তুলে ধরেন ও নারীর কর্তব্য সম্পর্কে নারী জাতিকে সচেতন হতে বলেন৷ তারা বলেন বর্তমান সামাজিক,অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানের একমাত্র পথ ‘প্রাউট’ তথা প্রগতিশীল উপযোগতত্ত্ব৷ বর্তমান ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় নারী পুরুষের বৈষম্য,ধনী দরিদ্র্যের বৈষম্য শিক্ষিত অশিক্ষিতের বৈষম্য ইচ্ছা করে সৃষ্টি করা হয়েছে শোষণের সুবিধার্থে৷ একমাত্র প্রাউটের সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সব বৈষম্য দুর করা সম্ভব ও একটি আদর্শ সমাজ গড়া সম্ভব৷ গার্লস প্রাউটিষ্ট সেই লক্ষ্য সামনে রেখে মানুষকে সচেতন করতে পথে নেমেছে৷  উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন অবধূতিকা আনন্দ কৃষ্ণধ্যানা আচার্যা, ব্রহ্মচারিনী সত্যপ্রিয়া আচার্যা, সীমন্তি দেব নিবেদিতা দেবনাথ, ঝুমুর রায় প্রমুখ৷