কোভিড ও লক্ডাউনের কবলে পড়ে আর্থিক দুর্দশাগ্রস্ত মধ্যবিত্ত আশা করেছিল এই বাজেটে অন্ততঃ কিছু সুরাহা পাবে৷ কিন্তু অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাজেটে জনতা জনার্দনের প্রাপ্তি শূন্য৷ পাঁচ রাজ্যের ভোটের দিকে চেয়ে মধ্যবিত্ত আশা করেছিল এই বাজেটে ভোটের ভেট হিসাবে মধ্যবিত্ত কিছু পাবে৷ কিন্তু অর্থমন্ত্রীর বচন সর্বস্ব বাজেট মধ্যবিত্তের সে আশায় ছাই দিয়েছে৷ বরং হীরের গয়নার দাম কমিয়ে, ১০০ দিনের কাজে বরাদ্দ কমিয়ে, খাদ্য ও সারে ভর্তুকি কমিয়ে গরীব মানুষের ঘাড়েই কোপ মেরেছে এই বাজেট৷
প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন--- দিশাহীন পরিকল্পনাহীন এই বাজেটে সাধারণ মানুষের কিছুই পাবার নেই৷ করোনা ও লকডাউনের কবলে পড়ে সাধারণ মানুষ জীবিকার যে সংকটে পড়েছে তার থেকে উদ্ধার করার কোন পরিকল্পনাই বাজেটে দেখা গেল না৷ পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরে একমাত্র ১০০ দিনের কাজে কিছুটা আর্থিক সুরাহার পথ পেয়েছিল৷ লক্ডাউন চলাকালিন গ্রামের গরীব মানুষের কিছুটা আয়ের উৎস ছিল ১০০দিনের কাজ৷ সেখানেও ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ কমিয়ে গরীবের চোখে সর্ষেফুল দেখিয়েছে৷ এছাড়া রান্নার গ্যাসেও ভর্তুকি কমেছে৷ এককথায় সাধারণ মানুষের জন্যে এই বাজেটে কিছুই নেই৷ অন্যদিকে হীরের গয়নার দাম কমিয়ে কোটিপতিদের আর্থিক সুরাহা করে দিয়েছে৷
অর্থমন্ত্রীর বিভ্রান্তিকর তথ্য---বাজেট ভাষণে অর্থমন্ত্রী তথ্য দিলেন চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে জি.এস.টি আদায়ের পরিমান ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা৷ এই তথ্য দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন জি.এস.টি চালু হওয়ার পর এটাই সর্বাধিক আদায়৷ কিন্তু ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জি.এস.টি আদায়ের পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা৷ অর্থমন্ত্রী ঘোষনা করে ছিলেন জি.এস.টি আদায় সরকার সর্বাধিক কর আদায়ে রেকর্ড গড়েছে৷ বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ণ তুলছেন---অর্থমন্ত্রীর কোন তথ্যটা সত্য!
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন---পেগাসাস-স্পিন বাজেট৷ সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে৷ এই বাজেটে তাদের জন্যে কিছুই নেই৷ পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ও বর্তমানে আর্থিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র বলেন---এই বাজেট অন্তঃসার শূন্য দিশাহীন ও ধাপ্পাবাজির বাজেট৷