বর্ধমানের ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে প্রভাত সঙ্গীতানুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ভাব-ভাষা-সুর-ছন্দে সমৃদ্ধ প্রভাত সঙ্গীতের স্রষ্ঠা বিশ্ববন্দিত সঙ্গীতগুরু তথা ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পিতৃভূমি বর্ধমান জেলার ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে গত ১৪ই সেপ্ঢেম্বর প্রভাত সঙ্গীত দিবসে মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ অখণ্ড প্রভাত সঙ্গীত, সাধনা, গুরুপূজা ও শেষে প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে প্রভাত সঙ্গীত অনুষ্ঠানটি আনন্দময় পরিবেশে সুসম্পন্ন হয়৷ ঐতিহ্যবাহী যে গৃহে পরমগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আনন্দমার্গ সৃষ্টির মহান পরিকল্পনা করেছিলেন সেই পবিত্র গৃহটিকে সুন্দর সুন্দর পুষ্পে সুসজ্জিত করা হয়৷ সেই গৃহেই মূল অনুষ্ঠানটি উদ্‌যাপিত হয়৷ সকাল হতে সন্ধ্যা পর্য্যন্ত সারাদিন ব্যাপী এই আনন্দময় অনুষ্ঠানে হাওড়া, হুগলি, নদীয়া,বর্ধমান, বীরভূম সহ বিভিন্ন স্থান হতে ভক্তবৃন্দ উপস্থিত হন৷

‘বন্ধু হে নিয়ে চলো’---অনুষ্ঠানের প্রথমেই প্রথম প্রভাত সঙ্গীতটি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অখণ্ড প্রভাত সঙ্গীত অনুষ্ঠান৷ পরিবেশন করেন বর্ধমান আনন্দমার্গ স্কুলের শিক্ষক শ্রী রাজীব সাহা৷ ক্রমে ক্রমে বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন ভাবের, সুরের, ছন্দের, ঋতু পর্যায়ের, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশিত হয়৷ তারপর সমবেত ধ্যান ও গুরুপূজার পর প্রভাত সঙ্গীত সম্পর্কে মনোজ্ঞ বক্তব্য রাখেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ তিনি বলেন পরমগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী জীব জগতের কল্যাণের উদ্দেশ্যে অনন্ত রত্নসম্ভার উপহার দিয়ে গেছেন৷ মাত্র ৮ বছর সময় সীমায় ৮টি ভাষায় ৫০১৮টি প্রভাত সঙ্গীত সুর সহ ১৯৮২ সনের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর দেওঘরে শুরু করে বন্ধু হে নিয়ে চল গান দিয়ে...৷ আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত আরও বলেন এই প্রভাত সঙ্গীতে রয়েছে দর্শন, শিক্ষা, ধর্ম, নীতি, সমাজ কল্যাণের ভাবনা ও সমাজের সমস্যার সমাধান৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেন বর্ধমানের ডি.এস আচার্য দেবোপমানন্দ অবধূত, সদয় পাল, শ্রীমতী অনিতা ঘোষ৷