ভারতীয় দলের এমন খেলার প্রদর্শন দেখে খুবই দুঃখিত ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা, কিন্তু কি করা যাবে যা হবার তা হয়েছে গেছে৷ তবুও ভারতীয় এমন দশা হবার পেছনে কারণ খুঁজতে গিয়ে ভারতীয় দলের প্রাক্তণ কোচ রবি শাস্ত্রী দুষছেন আই.পি.এলকে৷ কারণ প্রত্যেকটা খেলোয়াড় ক্লান্তির অজুহাতে মকুব হতে চাইছেন৷ কিন্তু বাড়তি ক্লান্তিটা আসছে কোথা থেকে সৌরভের বোর্ডের অতিরিক্ত পরিশ্রমে আইপিএল থেকে যেটা খেলা নয় শুধুমাত্র মানুষের মনোরঞ্জনের একটা বিষয়বস্তু কিন্তু ভারতের হয়ে খেলাটা হল দেশীয় আত্মমর্যাদা রক্ষার খেলা৷ সেই খেলায় যদি দেশের ক্রিকেটাররা ক্লান্ত হয়ে যায় তাহলে কিভাবে চলবে? কিছু উদাহরণের সাহায্যে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন--- যেমন প্রথমেই তিনি বুমরার প্রসঙ্গে বলেন---নামটা আগে শুণলেই মনে হত উইকেটের ঝড় উঠবে৷ কিন্তু এখন আর তা মনে হচ্ছে না, কারণ বুমরা বলছেন তিনি ক্লান্ত৷ এবার আসি তার পারিশ্রমিকের কথায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তালিকায় ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরিতে থাকা বুমরা বছরে ৭ কোটি টাকা পান৷ ম্যাচপিছু পারিশ্রমিক আলাদা৷ এটা একটা সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের পারিশ্রমিকের ধারে কাছে ঘেঁষে না৷ যারা দিনরাত রোগীর সেবা করেই চলেছেন৷ অথচ সেই ৭কোটি টাকা নেওয়ার পরও তাঁর মন ভরে না তিনি আবার আই.পি.এল থেকে ৭কোটি টাকা পকেটে পুড়তে ব্যস্ত কিনা৷ এমন হলে তো আসল ম্যাচ খেলার সময় তো ক্লান্তি আসবেই, তাই আই.পি.এলই দায়ী ভারতীয় দলের এমন পরিণতির জন্য৷ আর খেলোয়াড়দেরও দোষ দেওয়াটা বৃথা কারণ বোর্ডের উচিত এত পরিশ্রমের পরেই টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপের জন্য বিশ্রাম না দিয়েই তাদের খেলার মঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া৷
এই প্রসঙ্গে শাস্ত্রী আরও বলেন--- আমি অনায়াসে বোর্ডকে ছেলেদের বিশ্রামের জন্য বলতে পারি৷ কিন্তু এটা আমার দায়িত্ব নয়৷ যেকোনো বড় ক্রিকেট খেলোয়াড় দেশের বোর্ডও প্রতিযোগিতার আগে দেশের ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিতে চাইবে৷ মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখতে সেটাই আসলে করো হয়৷
আই.পি.এল ও টি-২০ বিশ্বকাপের মাঝে একটু বিশ্রাম পেলে ছেলেদের জন্য ভালই হত৷ সত্যিই ছেলেদের ভাল চাইলে বাবার মতো তাদের আগলানোটাই দায়বদ্ধতা, সেটাই কর্তব্য৷ চলে যাওয়ার সময় তাদের মাথায় মিথ্যা সহানুভূতির হাত রাখলে ছেলেরা উচ্ছন্নে যাবে৷