ভারতীয় ফুটবলের সংবিধান নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কে দাঁড়ি টানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট৷ খসড়া সংবিধান নিয়ে যে বিতর্ক রয়েছে, তা দ্রুত সম্ভব শেষ করতে চায় তারা৷ একই সঙ্গে, সব পক্ষকে নিয়ে বসে আলোচনা ও তাদের মতামত শোণার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, ‘‘এ বার আমাদের একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পৌঁছাতে হবে৷ সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থাকে নিয়ে যা যা সমস্যা রয়েছে তা শেষ করতে হবে৷’’ ওই বেঞ্চে বিচারপতি চন্দ্রচূড় ছাড়াও রয়েছেন বিচারপতি পি.এস নরসিংহ ও বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা৷ গত বৃহস্পতিবার বেঞ্চ অ্যামিকাস ক্যুরি (আদালত-বান্ধব) গোপাল শঙ্করানারায়ণনকে নির্দেশ দিয়েছে, খসড়া সংবিধান নিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ও কোন কোন বিষয়ে বিরোধিতা রয়েছে, তা শুণতে৷ বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ বলেছে, ‘‘সাংবিধানিক বেঞ্চের শুনানি শেষ হলেই আমরা খসড়া সংবিধান নিয়ে শুনানির দিন ঘোষণা করব৷’’ অ্যামিকাস ক্যুরি জানান, প্রত্যেক পক্ষেরই কোনও না কোন বিরোধিতা রয়েছে৷ বেঞ্চের তরফে অ্যামিকাস ক্যুর্যিকে প্রশ্ণ করা হয়, এখন সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার (এআইএফএফ) প্রধান কে? তিনি তখন বাংলার প্রাক্তন গোলকিপার কল্যাণ চৌবের নাম করেন৷ পাশাপাশি এটাও বলেন, ‘‘আমরা জানি না কীভাবে এই চৌবে সভাপতি হয়েছে৷ ২৪ জন খ্যাতনামী ফুটবলারের তালিকায় ভাইচুং ভুটিয়ার নাম ছিল৷ এই ব্যক্তি (কল্যাণ) সেখানে ছিলেন না৷ জানি না কী ভাবে তিনি সভাপতি হয়েছেন৷’’ উল্লেখ্য, গত বছর ২রা সেপ্ঢেম্বর সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন কল্যাণ৷ এর আগে এই বেঞ্চই জানিয়েছিল, ভারতীয় ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে কোনও পদক্ষেপই নেওয়া হচ্ছে না৷ সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করা হয়েছিল খসড়া সংবিধানের বিষয়ে নিজেদের মতামত জানানোর জন্য৷ তার আগে গত ৯ নভেম্বর অ্যামিকাস ক্যুরি শঙ্করানারায়ণকে নির্দেশ দেওয়া হয় খসড়া সংবিধান নিয়ে যাবতীয় আপত্তি তালিকা আকারে নথিবদ্ধ করার জন্যে৷
গত বছর ১৫ আগষ্ট এআইএফএফ-কে নির্বাসিত করে ফিফা৷ তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলা হয়েছিল তাদের বিপক্ষে৷ এরপরেই তিন সদস্যের প্রশাসকদের কমিটি খারিজ করে নির্বাচনের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ গত সেপ্ঢেম্বরে সেই নির্বাচন হয়৷ এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় ফেডারেশন প্রধান কল্যাণের সঙ্গে৷