গত ৬ই ফেব্রুয়ারী তুরস্ক ও সিরিয়াবাসী রাতে যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন সেই সময় ভোর ৪.১৭ মিনিটে কালান্তকম হয়ে তীব্র আঘাত হানে ভূমিকম্প, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭.৮৷ গত ২৪ ঘন্টায় তিনটি আফ্টার শক হয়েছে৷ রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ৫.২৷ গত তিনদিনে সব মিলিয়ে ১০০টিরও বেশী আফটার শক হয়েছে৷ ফলে তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে ধবংসস্তুপে পরিণত হয়েছে, তুরস্ক -সিরিয়া৷ তুরস্কের ক্ষতির পরিমান সবচেয়ে বেশী৷ এখনো পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার৷ আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল বাড়তে বাড়তে ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে৷ আহতের সংখ্যা অসংখ্য৷ দুই দেশের প্রায় দুই কোটি ত্রিশ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত৷ তাদের মধ্যে ১৪ লক্ষ শিশু৷ গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো শুরু হয়েছে বৃষ্টি ও তুষারপাত৷ বিরূপ প্রকৃতি উদ্ধারকার্যে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ রাস্তাঘাট ধবংস হয়ে যাওয়ায় বহু জায়গায় ত্রাণসামগ্রী বোঝাই ট্রাক পৌঁছাতে পারছে না৷ গত ১০০ বছরে তুরস্কবাসীরা এরকম ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখেনি৷ ভারত সহ বিশ্বের ৪০টি দেশ তুরস্ক ও সিরিয়ার কাছে ত্রাণসামগ্রী সহ অন্যান্য জরুরী সাহায্য পাঠিয়েছে৷ ভারতবর্ষ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ডাক্তার, নার্স, খাবার, ওষুধ মেডিকেল টীম মিলিয়ে প্রথম দফায় ১০০ জনের টিম পাঠিয়েছে৷ আরো সরঞ্জাম নিয়ে রওনা দিয়েছে কার্র্গে প্লেন৷ এর আগে ১৯৯৯ সালে তুরস্কের উঃ পশ্চিমাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় ১৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, সর্বশেষ ভূমিকম্পটি ঘটেছে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের কাছে দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে উত্তর-পশ্চিমমুখী ‘‘আনাতোলিয়ান’’ ফল্ট এর চারপাশে৷ সিসমোলজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে ভূপৃষ্ট থেকে ১৭ কিলোমিটার গভীরে এই কম্পনের উৎপত্তি৷ ২০ কোটির ও বেশী মানুষ প্রভাবিত হয়েছেন লাগাতার কম্পনে৷
সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়