বারাসাত : অবিলম্বে দার্জিলিংয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী বিমল গুরুং-এর গ্রেফ্তারের দাবীতে ১৪ই জুন বুধবার বিকেল ৪টায় বারাসাত ষ্টেশন থেকে আমরা বাঙালীর একটি মিছিল চাঁপাডালির মোড়ে এসে পৌঁছায়৷ দার্জিলিং পাহাড়ে সম্প্রতি সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী বিমল গুরুংকে অবিলম্বে গ্রেফ্তারের দাবী ও দার্জিলিংয়ের স্কুল কলেজে বাংলা ভাষা আবশ্যিক করার দাবীতে ও বিমল গুরুংএর অসাংবিধানিক দাবী দাওয়ার প্রতিবাদে আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে চাঁপাডালি মোড়ে পথ অবরোধ করা হয়৷ প্রতিবাদ সভায় বিমল গুরুং-এর কুশপুত্তলিকা দাহ করে উল্লিখিত দাবীর ভিত্তিতে বক্তব্য রাখেন জয়ন্ত দাস, বিকাশ বিশ্বাস, অজিত বিশ্বাস, উজ্জ্বল ঘোষ, দীপঙ্কর মন্ডল প্রমুখ৷ এই পথ অবরোধে আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে তিন শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন৷
কোচবিহার ঃ গত ৯ই জুন বিকালে কোচবিহারের কাছারি মোড়ে দার্জিলিংয়ে বিমল গুরুং ও রোশন গিরিদের গোর্র্খল্যান্ড আন্দোলনের বিরুদ্ধে আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই প্রতিবাদ,সভায় আমরা বাঙালীর উত্তরবঙ্গের সাংঘঠনিক সচিব দলেন্দ্রনাথ রায়, বাঙালীর জেলা সচিব সন্তোষ মোদক, মহাদেব মল্লিক, স্বদেশ চন্দ্র সরকার, বাবলা দেব, অমিতা দাস, রবি সরকার, হরবোলা রায়, হরিদাস মোদক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন৷
বক্তারা গোর্র্খ জনমুক্তি মোর্র্চর বিছিন্নতাবাদী সহিংস আন্দোলনের ও বাংলা ভাষা বিরোধী ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদ জানান৷ তাঁরা বলেন, গোর্র্খরা বিদেশী, বিদেশ থেকে এসে তাঁরা পশ্চিমবাংলায় জীবিকা অর্জন করবে, অথচ এখানকার বাংলা ভাষাকে মান্যতা দেবে না, পশ্চিমবাংলাকে দ্বিখন্ডিত করে এখানে গোর্র্খল্যান্ড গড়তে চাইবে--- এটা চলতে পারে না৷ বক্তারা কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির এই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে মদত দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানান৷
আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে বিমল গুরুং -এর কুশপুত্তলিকাও দাহ করা হয়৷
শিলিগুড়ি ১০ই জুন ঃ আমরা বাঙালী দলের পক্ষ থেকে গত ১০ই জুন শিলিগুড়ি শহরে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়৷ তারপর ভ্যানাস মোড়ে বিদেশী সন্ত্রাসবাদী জাতীয় সম্পদ ধবংসকারী ও খুনী বিমল গুরুং এর কুশপুতুল পোড়ানো হয়৷ নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সচিব খুশীরঞ্জন মন্ডল৷ সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় সদস্য হরেন্দ্রনাথ রায় প্রাণনাথ সরকার, তেজেন মন্ডল, জহর সাহা, বাপন দাস ও আরো অনেকে৷ মিছিলে প্রচুর জনসমাগম হয়েছিল৷
‘আমরা বাঙালী’র দাবী ঃ ১) বাঙলা ভাগের চক্রান্তকারী বিদেশী , সন্ত্রাসবাদী , জাতীয় সম্পদ ধবংসকারী ও খুনী বিমল গুরুং দের অবিলম্বে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে৷ ২)রাজ্যের সর্বত্র যখন দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষাক্ষেত্রে বাঙলা ভাষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে সেইরূপ বাঙলার অবিচ্ছেদ্য অংশ দার্জিলিং পাহাড়েও শিক্ষাক্ষেত্রে বাঙলা ভাষাকে বাধ্যতামূলকভাবে চালু করতে হবে ৷ ৩) কোনভাবেই বাংলা অবিচ্ছেদ্য অংশ দার্জিলিংকে গোর্র্খল্যান্ড করা চলবে না৷ ৪) ১৯৫০ সালে ভারত নেপাল মৈত্রী চুক্তি অনুযায়ী ৫০ সালের পরে আসা নেপালীরা বিদেশী৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দিয়ে তদন্ত করে ৫০ সালে পরে আসা নেপালীদের চিহ্ণিত করে নেপালে ফেরৎ পাঠাতে হবে৷ ৫) অবিলম্বে বেআইনি ও সংবিধান বিরোধী জিটিএ চুক্তি বাতিল করতে হবে৷
‘আমরা বাঙালী’র নেতৃবৃন্দ বলেন, যদি কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার আমাদের এই দাবী গুলি মেনে না নেয় তাহলে পশ্চিমবঙ্গে সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে বাঙালীর স্বার্থে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব৷ তাতে যদি কোনও অঘটন ঘটে তার জন্য দায়ী থাকবে সরকার৷
বনগাঁ ঃ বনগাঁ শাখার পক্ষে, বাঙালীর মাতৃভাষা ও জাতি সত্তার ওপর নেপালী গোর্খাদের আক্রমণের প্রতিরোধকল্পে বাটা মোড়ে একটি পথসভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহসচিব তারাপদ বিশ্বাস৷ পথসভা শেষে উপস্থিত জনতা তিন বাঙালী বিদ্বেষী ---বিমল গুরুং, দার্জিলিংয়ের এম.পি. সুরেন্দ্র জিৎ সিং আলুওয়ালিয়াও সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংয়ের কুশপুত্তলিকা তীব্র ক্রোধ ও ঘৃণার সঙ্গে অগ্ণিদগ্দ করে৷
বাঙলা ভাগের বিরুদ্ধে আমরা বাঙালীর প্রতিবাদ সভা
চুঁচূড়া, ২৩শে জুন ঃ চুঁচুড়ার খাদিনা মোড়ে ‘আমরা বাঙালী’ হুগলী জেলার পক্ষে সাম্প্রতিক দার্জিলিং পাহাড় অঞ্চলে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতৃত্বে অশান্তির আগুন ও বাঙলা ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে একটি পথসভা তথা প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সেই প্রতিবাদ সভায় জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে প্রতিনিধিরা যোগদান করেন৷ সভায় বক্তব্য রাখেন সর্বশ্রী অভিরাম বাগ, সুকুমার গুছাইত, জ্যোতিবিকাশ সিন্হা, মহাদেব কুণ্ডু ও স্নেহময় দত্ত৷ সভা চলাকালীন জনগণের মধ্যে গোর্খাল্যাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রচারপত্র বিলি করা হয়৷ স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে যথেষ্ট উৎসাহ উদ্দীপনার সঞ্চার হয় ও জনগণ ‘আমরা বাঙালী’র প্রয়াসকে সাধুবাদ জানান৷
শিলিগুড়ির জার্নালিস্ট কর্ণারে আমরা বাঙালীর সাংবাদিক সম্মেলন
গত ১৭ই জুন বিকাল ৪টায় আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে দাবী করা হয় অবিলম্বে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিমল গুরুংকে গ্রেফ্তার করতে হবে ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে নিষিদ্ধ করতে হবে---এই দাবী করেন কেন্দ্রীয় সহ সচিব বকুল চন্দ্র রায় মহাশয়৷ এছাড়া সহ সচিব তারাপদ বিশ্বাস বিভিন্ন তথ্য দিয়ে বুঝিয়ে দেন গোর্খারা বিদেশী নেপালী নাগরিক৷