প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ সম্প্রতি বাঙলার প্রাপ্য আদায় করতে দিল্লি রাজ্য সংঘাত সম্পর্কে বলেন--- স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত নেহেরু থেকে নরেন মোদি সরকার সব আমলেই বাঙলা বঞ্চিত হয়ে আসছে৷ স্বাধীনতা পরবর্তী বাঙলার রাজনৈতিক নেতারা দিল্লির বিরুদ্ধে কখনো একটা কথাও বলেনি,বাঙলার প্রাপ্যটুকুও আদায় করতে পারেনি৷ বাঙলার রাজনৈতিক নেতারা স্পষ্ট করে একটা কথা বলতে পারেন না---দিল্লির দয়ার বাঙলার বাঁচে না, বাঙলার সম্পদ লুটে দিল্লি চলছে৷
শ্রী খাঁ বলেন কংগ্রেসের কথা বাদই দেন, স্বাধীনতার পর ৩০বছর বাঙলা শাসন করেছে কংগ্রেস, কেন্দ্রেও সেই কংগ্রেস সরকার, তবু পঞ্জাব যেভাবে উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান করেছে, দিল্লির কাছ থেকে তার প্রাপ্যের অধিক আদায় করে পঞ্জাবের উন্নয়ন করেছে৷ বাঙলার অপদার্থ কংগ্রেস নেতারা তার ছিঁটে ফোঁটাও করতে পারেনি৷ অযোগ্য অপদার্থ নেতারা শুধু দিল্লির দাসত্ব করে গেছে! বাম সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দিল্লির বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বললেও ক্ষমতায় আসার পর প্রথম কয়েক বছর অধিক ক্ষমতার দাবী তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চিৎকার করলেও পরে নানা অপকীর্তি ঢাকতে দিল্লির সঙ্গে সেটিং করে চলেছে ইন্দিরা রাজীব থেকে বাজপেয়ী আদবানী সব সরকারের সঙ্গে৷ তাই বাঙলার প্রতি বঞ্চনা নিয়ে দিল্লির বিরুদ্ধে কোন সরকারই সেভাবে মুখ খোলেনি৷ স্বাধীনতার পর এই প্রথম রাজ্যের শাসক দল বাঙলার প্রতি বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ও ন্যায্য প্রাপ্যের দাবি তুলে দিল্লিতে গিয়ে ধর্ণায় বসেছে৷ রাজভবনের সামনে ধর্ণায় বসে রাজ্যপালকে দিল্লিতে যেতে বাধ্য করেছে৷ ফল যাই হোক, গোটা দেশে অন্তত বাঙলার প্রতি বঞ্চনার কথাটা পৌঁছে গেছে৷
শ্রী খাঁ আরও বলেন বাঙলার উন্নয়ণের জন্যে দিল্লির দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় না৷ বাঙলার সম্পদেই বাঙলার উন্নয়ন সম্ভব৷ প্রকৃতির অকৃপণ দানে বনজ, কৃষিজ, জলজ, খনিজ কোন সম্পদেরই বাঙলায় অভাব নেই৷ এই সম্পদ লুটেই পশ্চিমভারত সমৃদ্ধ হচ্ছে বাঙলার রাজনৈতিক নেতাদের কাপুরুষতা ও দিল্লির প্রতি দাসত্বের মানসিকতার জন্যে৷ বাঙালী যদি মাথা উঁচু করে শিরদাঁড়া সোজা রেখে বাঙলার সম্পদে বাঙালীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে তবে শুধু ভারতে নয়, বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধশালী অঞ্চল হবে বাঙলা৷