দিনে কলেজের লেকচারার আর রাতে কুলি

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ওড়িশায় গঞ্জামের বেরহামপুরে দিনে কলেজে পড়িয়ে রাতের বেলায় তিনি কুলির কাজ করেন এই তরুণ৷ কারণ জানলে সত্যি তাজ্জব হবেন সকলেই!  প্রত্যন্ত গ্রামের সন্তান নাগেশুর পড়াশোনা দারিদ্রের চাপে বন্ধ হয়ে যায় ২০০৬ সালে৷ তখনই ঠিক করে ফেলেন সুযোগ পেলে গরিব ছেলেমেয়েদের পড়াবেন৷ ২০১২ সালে করেশপনডেন্সে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন৷ তারপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর৷ এই সুযোগ এমন মানুষের  কথা শুনলে অবাক হয়ে যেতে হয়৷ ওড়িশার গঞ্জামের বেরহামপুর স্টেশনে বিশাল বোঝা বয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায় নাগেশু পাত্রকে৷ এটা অবশ্য রাতে বেলা৷ দিনে তিনি করেন একেবারে অন্য কাজ৷ একটি কলেজে পড়ান নাগেশু (৩১)৷ কেন এমন কাজ করেন? এর পেছনে রয়েছে আরও  বড় চমক৷ গরিব বাচ্চাদের জন্য একটি কোচিং সেন্টার খুলেছেন নাগেশু৷ একসময় নিজেই পড়াতেন৷ এখন সেখানে পড়ুয়া বেড়েছে৷ ফলে রাখতে হয়েছে মোট ৪ জন শিক্ষক৷ তাদের বেতন আসবে কোথা থেকে? কোচিং সেন্টারের শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন রেল কুলির কাজ৷ সকালে চলে আসেন কলেজে৷ সেখানে তিনি গেস্ট লেকচারার৷ কলেজের পড়ানোর পর দিনের শেষে চলে আসেন নিজের কোচিং সেন্টারে৷ সেখানে পড়ানোর পর সন্ধেয় বেরিয়ে পড়েন বেরহামপুর স্টেশনের উদ্দেশ্যে৷ করোনার সময় কোচিং সেন্টারের শুরু৷ কলেজ ছিল না৷ তাই বিনা পয়সায়  কোচিং সেন্টার খুলে বসেন৷ সেখানে পড়াতে শুরু করেন এইট থেকে টুয়েলভ ক্লাসের পড়ুয়াদের৷ পড়ুয়াদের চাপে তিনি আরও চার জন শিক্ষক নিয়ে নেন৷ তারা পড়ান সব বিষয়৷ কলেজে গেস্ট লেকচারার হিসেবে মাসের শেষ নাগুে পান মাত্র ৮ হাজার টাকা৷ সেই টাকার পুরোটাই পাঠিয়ে দেন ৰাৰা-মাকে৷

একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামের সন্তান নাগেশুর পড়াশোনা দারিদ্র্যের চাপে বন্ধ হয়ে যায় ২০০৬ সালে৷ তখনই ঠিক করে ফেলেন সুযোগ পেলে গরিব ছেলেমেয়েদের পড়াবেন৷ ২০১২ সালে এ উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন৷ তারপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর৷ আর বেরহামপুর স্টেশনে নথিভুক্ত কুলি ২০১১ সাল থেকে৷ তারপর কলেজের গেস্ট লেকচারার ও কোচিং সেন্টার খোলা৷