দিশাহীন জনস্বার্থ বিরোধী বাজেট

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

প্রবীণ প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন---৭৩ বছর ধরে বাজেট তো পেশ হচ্ছে  সাধারণের কি উপকারটা হচ্ছে? এই বাজেটও তার ব্যতিক্রম নয়৷ অর্থমন্ত্রী কোভিড ও লক্‌ডাউনে বিপর্যস্ত মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের মনে কোন আশার সঞ্চার করতে পারেনি৷ তিনি শুধু রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা বেসরকারী হাতে তুলে দেওয়ার দাওয়াই দিয়েছেন৷ এতে সাধারণ মানুষের লাভ কতটুকু হবে? দেশের সম্পদ যত পুঁজিপতিদের হাতে যাবে অর্থনীতি ততই কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়বে৷ পুঁজিপতিরা আর্থিক বিকাশের চিন্তা করে জনগণের কথা ভেবে নয়,নিজেদের সম্পদ বৃদ্ধির জন্য৷ কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই যখন গরীব মধ্যবিত্ত মানুষ কর্মহীন রুজিহীন হয়ে বিপর্যস্ত জীবনযাপন করছে তখনও দেশের ধনকুবেররা ফুলে ফেঁপে উঠেছে৷ হাজার কোটি টাকা সম্পদ বাড়িয়ে নিয়েছে৷ এ কোনো মনগড়া কথা নয়,বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংস্থার প্রতিবেদনে ভারতীয় অর্থনীতির এই করুণ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে৷

বর্তমান শাসকদল পুঁজিবাদের স্বার্থেই কাজ করে চলেছে৷ তাই তার কাছে সাধারণ মানুষের কোন আশা থাকার কথা নয়, কিন্তু এভাবে  দেশের সম্পদ বৃদ্ধি ছক বাজেটের মধ্যে আগে কখনও দেখা যায়নি৷

দেশ এখন অর্থনৈতিক মন্দার কবলে৷ এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আস্তে হলে জনসাধারণের হাতে ক্রয় ক্ষমতা তুলে দিতে হবে৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার একদিকে রাষ্টায়ত্ত সম্পদ বেসরকারীকরণ ও কৃষি সেসের নামে পেট্রোল ডিজেলের ওপর অতিরিক্ত সেস নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অগ্ণিমূল্য করে দেবে৷ জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে৷ শ্রী খাঁ হতাশার সুরে বলেন--- পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনসাধারণের জন্য কিছু আশা করাই বৃথা৷ যত দিন না প্রগতিশীল উপযোগতত্ত্বের বাস্তবায়ণ হচ্ছে ততদিন দেশের জনগণকে দুর্র্ভেগ সয়ে যেতে হবে৷ তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন কেন্দ্রীয় শাসকদল এবার বাঙলা দখলের নেশায় বুঁদ হয়ে প্রচারে নেমেছেন৷ রাজ্য শাসক দলের বেশ কিছু নেতাকর্মীকে দলে ভিড়িয়েছেন৷ তাই অনেকের আশা ছিল এবার বাজেটে পশ্চিমবঙ্গ বড় কিছু পাবে৷ কিন্তু সে আশাতেও জল ঢেলেছে অর্থমন্ত্রী৷