দার্জিলিংয়ে জিটিএ-র মেয়াদ ছিল আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত৷ এ অবস্থায় জিটিএ-কে দেওয়া সরকারী টাকার আয় ব্যায়ের অডিটের নির্দেশ দেওয়ায় জিটিএ থেকে পদত্যাগ করেন বিমল গুরুংরা৷ তারপর থেকেই পাহাড়ে গুরুং চরম অশান্তির সৃষ্টি করে৷ গুরুংদের জঙ্গীপনা ও তাঁদের ডাকা একাটানা সুদীর্ঘ বনধের ফলে জনজীবনে চরম ক্ষোভ দেখা দেখা দেয়৷ আর সেই ক্ষোভের দরুণ গুরুং-এর সহযোগী বিনয় তামাং ও অনিত থাপারা কার্যত গুরুং-এর গোঁয়ার্তুমীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে’ মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে বসেন ও পাহাড়ে আপাততঃ বনধ্ তুলে শান্তির পরিস্থিতি আনার চেষ্টা করছেন৷
এই পরিস্থিতিতে জিটিএ চুক্তির ৬৫ নম্বর ধারা মেনে মুখ্যমন্ত্রী জিটিএ--কে সজীব করে তুলতে ‘বোর্ড অব এ্যাডমিনিষ্ট্রেসন’ তৈরী করলেন ৷
এই বোর্ডের চেয়্যারম্যান করা হ’ল বিনয় তামাংকে ও ভাইস চেয়্যারম্যান করা হ’ল তার অনুগত অনিত থাপাকে৷
এইভাবে মুখ্যমন্ত্রী বিমল গুরুংকে চাপে ফেলে দিলেন৷ দার্জিলিং ও মিরিকের প্রতিনিধিদের নিয়ে এই বোর্ড তৈরী করায় স্বাভাবিকভাবে বিমল গুরুংকে গুরুত্বহীন করে পাহাড়ে বিনয় তামাং তাঁর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চলেছেন৷ ঠিক যেমনভাবে সুবাস ঘিসিংকে সরিয়ে বিমল গুরুংদের উত্থান হয়েছিল, ঠিক তেমনিভাবেই বিমল গুরুংকে সরিয়ে বিনয় তামাং-য়ের উত্থান শুরু হয়েছে ও পুরোনো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে৷