হাইকোর্টের বিচারপতিকে সুপ্রিম ভর্ৎসনা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

দেশের কোনও অংশকে ‘ পাকিস্তান’ বলে দাগিয়ে দেওয়া যায় না৷ কর্ণাটক হাইকোর্টের বিচারপতি ভি সুপ্রিম কোর্ট৷ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গ্রহণ করা মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ বলেছে, কোনও সম্প্রদায় সম্পর্কে মন্তব্য থেকে নিজেদের বিরত

 থাকতে হবে৷ কর্ণাটক হাইকোর্টের বিচারপতির উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বুধবার বলেন, ‘দেশের কোনও অংশকে আপনি পাকিস্তান বলতে পারেন না৷ এটা দেশের ঐক্যের মৌলিক নীতির পরিপন্থী’ মুসলিম-অধ্যুষিত বেঙ্গালুরুর একটি এলাকাকে ‘পাকিস্তান’ বলে উল্লেখ করেছিলেন বিচারপতি শ্রীশানন্দ৷ মহিলা আইনজীবী সম্পর্কেও অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন তিনি৷ ফলে বিতর্ক দানা বাঁধে৷ এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই যখন সেগুলি একটি নির্দিষ্ট লিঙ্গ বা সম্প্রদায়ের ওপর করা হয়, তখন পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গিই প্রকাশ করে৷ শুনানির সময়, বিচারকের এমন মন্তব্য, যা কোনও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বা যা তাঁর পক্ষে ক্ষতিকারক, তা এড়ানো উচিত’ বিচারপতি চন্দ্রচুড় বিচারপতি ও আইনজীবীদের ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার বার্তা দিয়েছেন৷ সর্র্বেচ্চ আদালতের বক্তব্য, বিচার-ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত বিচারক, আইনজীবী ও মামলাকারীদের একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, আদালতের কার্যক্রম শুধু আদালতে উপস্থিত লোকজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, যাঁরা দেখছেন তাঁরাও আছেন৷ সর্র্বেচ্চ আদালত আরও বলেছে, এই যুগে, যেখানে আদালতের যাবতীয় কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করা হয়, সেখানে এমন ধরনের মন্তব্য করার আগে সতর্ক হতে হবে বিচারক এবং আইনজীবীদের সেই সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত মতামত এবং ধ্যানধারণা দূরে সরিয়ে নিরপেক্ষ ভাবে বিচার-প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে৷ দিন কয়েক আগে বেঙ্গালুরুর একটি মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকাকে ‘পাকিস্তান’ বলেউল্লেখ করেছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি পরে তিনি এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চান৷ যদিও ততক্ষণে বিচারপতি শ্রীশানন্দের মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়৷ কর্ণাটকের অননুমোদিত ইউটিউব লাইভ স্ট্রিমিং নিষিদ্ধ করা হয়৷ এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘আদালতের কার্যপ্রক্রিয়ায় সর্র্বেচ্চ স্বহতা আনা জরুরি৷ আদালতে যা-ই ঘটুক তা চাপা দেওয়া উচিত নয়৷’