স্বাধীনতার পর থেকেই স্বদেশী সাম্রাজ্যবাদী শোষকের শোষণের স্বীকার ভারতের বিশেষ করে পূর্ব ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের জনগোষ্ঠীগুলি৷ শোষনের প্রাথমিক কৌশল ছিল হিন্দিভাষাকে অবলম্বন করে অন্যান্ন ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতিকে অবদমিত করে রাখা৷ বাংলা ছাড়া ভোজপুরী, মগহী, অঙ্গিকা, মৈথিলী, বুন্দেলি, বাঘেলী সহ বেশ কিছু ভাষার ক্ষেত্রে শোষকরা অনেকটাই সফল৷ বাংলাকেও অবদমিত করে রাখার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়েছে৷ তবে বাংলার উন্নত ভাষা ,সাহিত্য সংস্কৃতির সঙ্গে পেরে উঠছে না৷ বিহারের জনগোষ্ঠীগুলোকে তাদের মাতৃভাষা ভুলিয়েই দিয়েছে৷
সাম্রাজ্যবাদী ফ্যাসিষ্ট শোষকদের উদ্দেশ্যই হলো কোন জনগোষ্ঠীকে মানসিক অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল করতে তার ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতি ধবংস করে সেখানে নিম্নমানের হীনরুচির সাহিত্য, সঙ্গীত চলচিত্রের প্রসার৷ এইভাবে ছাত্র যুব সমাজের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া ও মানসিক দিক দিয়ে পঙ্গু করে অবাধে শোষণ চালিয়ে যাওয়া৷ ভারতে একশ্রেণীর পুঁজিপতি তাদের অর্থে পালিত রাজনৈতিক দলের সাহায্যে হিন্দি ভাষার মাধ্যমে সেই কাজটাই করছে৷ বাঙলাতেও আজ নির্দয়ভাবে ফ্যাসিষ্ট শোষণ চলছে, এ কথা অস্বীকার করা যাবে না৷ ফ্যাসিষ্ট শোষকরা একদিকে বাঙলার ব্যবসা বাণিজ্য দখল করে বাঙলার প্রাকৃতিক সম্পদ লুন্ঠন করছে৷ অপর দিকে হিন্দি নিম্নমানের চলচিত্র গানের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে সংস্কৃতিকে অবদমিত করছে ও যুব সমাজের মেরুদণ্ড ভেঙে দিচ্ছে
ও তাদের মানসিকভাবে দুর্বল করছে৷
এই নির্দয় শোষণের অবসান ঘটাতে প্রাউট সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলনের বিধান দিয়েছে৷ এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হবে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করা যা স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরেও অধরা৷ প্রাথমিকভাবে প্রতিটি মানুষের হাতে দিতে হবে ক্রয়ক্ষমতা জীবনধারণের নূন্যতম প্রয়োজনপূর্ত্তির জন্যে৷ ধাপে ধাপে প্রতিটি মানুষের শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া৷ শুধু বাঙলা ভারত নয় বিশ্বের প্রতিটি জনগোষ্ঠীই সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করবে৷ এইভাবে সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে প্রাউট সর্বশ্রেণীর মানুষের সার্বিক কল্যাণ সুনিশ্চিত করবে৷