হতাশায় ডুবে কর্ষকদের আত্মহত্যা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

বর্ধমান জেলার ভাতার ও মঙ্গলকোটে দুজন কর্ষক কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি ও পাওনাদারদের চাপের ফলে হতাশ হয়ে আত্মহত্যা করেছেন৷

ভাতার ব্লকের কাটারি গ্রামে সম্রাট রায় (৩২) নামে এক কর্ষক গত ২৪শে এপ্রিল নিজের গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন৷ সম্রাট রায়ের স্ত্রী শ্রীমতী চৈতালী রায় জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী চার বিঘা জমিতে টাকা ধার করে বোরো চাষ করেছিলেন৷ গত ২৩শে এপ্রিল প্রচণ্ড কালবৈশাখীর ঝড়ে মাঠের ধান মাঠেই ঝরে যায়৷ তাই হতাশ হয়ে সম্রাট আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন৷

অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলকোটের বালিভাঙ্গা গ্রামে৷ এই গ্রামে চণ্ডী মিত্র নামে এক কর্ষক বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন৷ চণ্ডী মিত্র ৬০০০০ টাকা ঋণ করে আলু চাষ করেছিলেন৷ কিন্তু আলুর ন্যায্য মূল্য না পেয়ে তিনিও হতাশ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন৷

গত ২৫শে মার্চ মেমারিতেও সঞ্জয় পাল নামে এক আলুচাষী একই কারণে আত্মহত্যা করেছেন৷ গত বছর নভেম্বরে সিধু মাণ্ডি নামে এক চাষীও একই কারণে আত্মহত্যা করেছেন৷  রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার গরীব মানুষের সহায়তার জন্যে কত কিছু করেছে--- তার বিরাট ফিরিস্তি দেন, কিন্তু গরীব চাষীদের এই মূল সমস্যাটা সমাধানের জন্যে তাঁরা কিছুই করছেন না৷ তাই আগের মত এখনও চাষীদের  ন্যায্য মূল্যের অনেক কম মূল্যেই বাধ্য হয়ে তাঁদের ফসল বেচতে হয়৷ এই কারণে অধিকাংশ চাষী ক্রমে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হচ্ছেন৷