বিমল গুরুংদের নেতৃত্বে দার্জিলিংয়ে ৮ই জুন থেকে একটানা বন্ধ ও সারা পাহাড়ে হিংসাত্মক আন্দোলনের ফলে দার্জিলিংয়ের সাধারণ মানুষ অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে৷ খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে৷ চাল-গম সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর দামও আকাশছোঁয়া৷ এদিকে সবার আয়ও বন্ধ৷ মনের ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারছে না মোর্র্চ নেতা ও কর্মীদের ভয়ে৷
গোর্খাদের একটানা বন্ধের ফলে ১১ই জুলাই খবর পাওয়া গেল ৮০ লরি চাল-ডাল সমতলে আটকে আছে৷ এরফলে রাজ্য সরকারের প্রতিদিন ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতি হচ্ছে৷
পাহাড়ের সাধারণ মানুষ আশা করছিলেন, এবার বন্ধ শিথিল হবে৷ কিন্তু ১১ই জুলাই মিরিকে পাহাড়ের সমস্ত দলগুলিকে নিয়ে ‘গোর্খাল্যান্ড মুভমেন্ট কোর্ডিনেশন কমিটি (জি এম সি সি)- এর বৈঠকের পর মোর্র্চ নেতারা জানিয়ে দিয়েছে, বন্ধ অব্যাহত থাকবে৷ ১৫ই জুলাই বিভিন্ন দলের এক একজন করে নেতা আমরণ অনশনে বসবে বলেও জানানো হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের জন্যে (লেপচা, ভুটিয়া প্রভৃতি) যে বোর্ড তৈরী করেছিলেন, ওই সব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের অবিলম্বে বোর্ড থেকে ইস্তফা দেওয়ার ফতোয়া জারী করা হয়েছে৷ না হলে তাদের গোর্খা বিরোধী হিসেবে চিহ্ণিত করা হবে৷ তারপর তাদের ওপর কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেকথা অবশ্য প্রকাশ্যে কিছুই বলা হয়নি, তবে সহজে অনুমেয়৷
রাজ্য সরকারের কাছ থেকে দার্জিলিংয়ে যারা পুরস্কার গ্রহণ করেছেন, সেই পুরস্কারও ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ এসেছে আন্দোলনের নেতাদের তরফ থেকে৷ ওদিকে দিল্লিতেও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চাপ সৃষ্টি করার জন্যে ওখানে বিক্ষোভ আন্দোলনের কর্মসূচী নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে৷