উত্তরাখণ্ডে জাতীয় গেমসে বাংলার সোনা যোগ৷ মোট তিনটি সোনা এবং একটি রুপো এসেছে মেয়েদের যোগাসনে৷ চার প্রতিযোগীর প্রত্যেযকেই শত প্রতিকূলতা কাটিয়ে প্রথম বারে নেমেই ভারত সেরার মঞ্চে তুলে ধরেছেন বাংলাকে৷ সোনা পাওয়ার সময় আনন্দে চোখের কোণ চিকচিক করে উঠলেও আক্ষেপ কম নেই৷ কারণ পদক জিতলেও বাংলার প্রতীক দেওয়া ট্র্যািকসুট এবং জার্সি তাঁদের ভাগ্যেআ জোটেনি৷ কেন? রাজ্যি যোগাসন সংস্থার সচিব গৌতম সিংহ বল ঠেলছেন অল বেঙ্গল যোগাসন সংস্থার দিকে৷ আনন্দবাজারকে ফোনে বললেন, ‘‘জাতীয় গেমসের আগে বৈঠকের সময় অল বেঙ্গল যোগসনের যুগ্ম সচিব অঞ্জন রায়ের সঙ্গে কথা হয়৷ সে দিন পোশাক তৈরি ছিল না৷ পরে ওঁর নম্বরে ফোন করলেও কোনও সাড়া পাইনি৷ পোশাক বাংলা অলিম্পিক্স সংস্থার ঘরেই পড়ে রয়েছে৷’’ তাঁর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তীহীন দাবি করে সুদূর উত্তরাখণ্ড থেকে অঞ্জন বললেন, ‘‘আমরা সে দিন বৈঠকের পরে ওঁর কাছে পোশাক চাওয়াতে উনি গোডাউন থেকে নিতে বলেছিলেন৷ সেখানে গিয়ে জানতে পারি, প্রতিযোগী এবং কোচদের পোশাক তৈরিই হয়নি৷ পরে পোশাক দেওয়ার কথা বলা হলেও আমরা পাইনি৷ নিজেদের পোশাকেই তাই প্রতিযোগিতায় নামতে হয়েছে৷’’ ‘‘পদক ছিনিয়ে আনতে না পারলে কেউই মনে রাখবে না৷ আশা করি সাফল্যদই আমার হয়ে কথা বলবে৷’’
রিদ্মিক ইভেন্টে জুটি বেঁধে সোনা জিতেছেন সাথী মণ্ডল ও সর্বশ্রী মণ্ডল৷ এছাড়াও ট্র্যাডিশনাল ইভেন্টে রুপো জয়ের স্বাদ পেয়েছেন সাথী৷ তাঁর বাবা টোটোচালক৷ সাথীর বক্তব্য৷, ‘‘অনেক কষ্ট করে এই জায়গায় এসেছি৷ বাবা-মার আত্মত্যা গের জন্যোই আমি এত কথা বলতে পারছি৷’’ পদক জিতলেই চাকরি ও আর্থিক পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়েছে৷ খুশি হলেও এখনই আবেগে ভাসতে নারাজ সাথী৷