২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের জুলাই থেকে সেপ্ঢেম্বর ত্রৈমাসিক জিডিপি বৃদ্ধির হার ২.৭ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৫.৪ শতাংশ৷ গত আর্থিক বছরে এই সময় জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৮.১ শতাংশ৷ জিডিপি বৃদ্ধির হার কমার অর্থ বাজারে চাহিদা কমছে৷ বিদ্যুৎ, গ্যাস, জল সরবরাহের মতো জরুরী পরিষেবাগুলিতে সংযোজিত মূল্য গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধির হার প্রায় অর্দ্ধেক কমেছে৷
২৯শে নভেম্বর প্রকাশিত সরকারী তথ্য অনুযায়ী কৃষি ও পরিষেবায় জিডিপি বৃদ্ধির হার কিছুটা বেশীর অর্থনীতির বাকী সব বিভাগেই বৃদ্ধির হার কম, অথচ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অর্থদপ্তর দাবী করেছিল এবার জিডিপি বৃদ্ধির হার সাড়ে ছয় থেকে সাত শতাংশ হবে জিডিপি বৃদ্ধির হার কমার অন্যতম কারণ মূল্যবৃদ্ধির জন্যে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে, চাহিদা না থাকায় উৎপাদনও কমেছে৷
প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য ভারতীয় অর্থনীতিকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারে নিয়ে যাবে৷ প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন---সরকারের লক্ষ্য পর্বত শিখরে, কিন্তু ছুটছে সাগর পানে৷ তিনি বলেন জিডিপি কর্র্পেরেট সংস্থাগুলির একটি আর্থিক কৌশল মাত্র৷ সাধারণ মানুষের আর্থিক বিকাশের সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই৷ সার্বিক আর্থিক বিকাশ নির্ভর করে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ওপর, কিন্তু যে ভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে সেই অনুসারে মানুষের আয় তো বাড়ছে না৷ মানুষের হাতে ক্রয় ক্ষমতা না যাকলে বাজারে চাহিদা থাকবে না উৎপাদন ও মার খাবে৷ অর্থনীতির এর সরল সমীকরণ সরকার খুব ভালোই জানে৷ তাই যে সব বিষয়ে জনতা অজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী সেইসব বিষয় নিয়েই বাগাড়ম্বর করেন ব্যর্থতা ঢাকতে৷