বাঙলা ভাগের চক্রান্তের প্রতিবাদে ও অসাংবিধানিক জি.টি.এ বাতিল করার দাবীতে শিলিগুলির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের গেটের সামনে থেকে এক মহাবিক্ষোভ মিছিল করে ‘‘বাঙালী ছাত্র-যুব সমাজ’’ সংঘটনটি৷ উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্র-যুব সমাজ সচিব তপোময় বিশ্বাস, ছাত্র সমাজ সচিব পার্থ প্রতিম রায় প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷ মিছিলটি শিলিগুড়ি হিলকার্ট রোড, হাসমি চক, বিধান মার্কেট প্রভৃতি স্থান ঘুরে পোষ্ট অফিস মোড়ে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে জনসভা করে৷ জনসভায় বক্তব্য রাখেন---আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা,কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সচিব জয়ন্ত দাশ, উত্তরবঙ্গ আমরা বাঙালী নেতা সুবোধ বর্মন, মোহন অধিকারী,ছাত্র -যুব সমাজ সচিব তপোময় বিশ্বাস, ছাত্র সমাজ সচিব পার্থ প্রতিম রায় প্রমুখ৷
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় সচিব তপোময় বিশ্বাস বলেন,১৮ই জুলাই ২০১১ শিলিগুড়ির পিনটেল ভিলেজে এক ঐতিহাসিক ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী৷ রাজ্য সরকার, পাহাড়ের সন্ত্রাসবাদী নেতা বিমল গুরুং ও কেন্দ্রীয় সরকারের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে তৈরী হয় জি.টি.এ যা সম্পূর্ণভাবেই ভারতীয় সংবিধানের পরিপন্থী, বিরোধী৷
গোর্খারা বিদেশী, নেপালী তারা ভারতের নাগরিকই নয়, ১৯৫০ সগৌলির চুক্তির ভিত্তিতে নেপালীরা ভারতে এসে টাকা রোজগার করতে পারবে, কিন্তু নাগরিকত্ব পাবে না৷ স্বায়ত্তশাসন শুধু উপজাতিরাই পেতে পারে, কিন্তু ভারতের উপজাতি তালিকাতে গোর্খা জাতির নাম নেই৷ অতএব এই জিটিএ সম্পূর্ণভাবে অসাংবিধানিক৷ এই জিটিএ আইনের মধ্যে দিয়ে বাঙলাকে পুনরায় বিচ্ছিন্ন করার বীজরোপিত হল৷ এই জি.টি.এ আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে৷ ২০২১ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের ফলাফলে বিজেপির বিপুল বিপর্যয়ের পর তাদের সাংসদ বিধায়ক গণ হতাশাগ্রস্ত হয়ে বাঙলাকে অশান্ত করতে ক্রমাগত বাঙলা ভাগের উস্কানি, প্ররোচনা দিচ্ছে! তপোময় বিশ্বাস আরো বলেন, উত্তরবঙ্গ-রাঢ়বঙ্গ বঞ্চিত বলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলকে কেটে আলাদা রাজ্য ঘটন করার নক্কারজনক চক্রান্ত চালাচ্ছে বিজেপি৷ সাবধান হতে হবে বাঙালীদের, রাজনৈতিক দলের উর্ধে উঠে বাঙালী ঐক্য ঘটন করার মহাদ্যোগ নিতে হবে বঞ্চনার বিপরীত উন্নয়ন করার দাবী৷ বাঙলার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ দার্জিলিংকে কেটে আলাদা গোর্খাস্থান রাজ্য করার চক্রান্ত ব্যর্থ করতে সমস্ত বাঙালীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি৷ আজ আমাদের মিছিলের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে ‘আমরা বাঙালী’, বাঙালী কর্ষক সমাজ বাঙালী বিদ্বৎ সমাজ, বাঙালী শ্রমিক সমাজ সব বহু গণসংঘটন৷ এই দিন ছাত্র-যুব সমাজের ডাকে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলা থেকে ও দক্ষিণ বঙ্গের জেলা গুলি থেকেও ছাত্র যুব সমাজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিক্ষোভ সভাতে যোগ দেন৷