আজ থেকে প্রায় ৩৫ আগে প্রাউট প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছিলেন---‘নিকট ভবিষ্যতে পৃথিবীর অনেক অংশেই তীব্রজলসংকট দেখা দেবে৷’’ তিনি জল সংকটের মনুষ্য সৃষ্ট কারণ ও প্রাকৃতিক কারণগুলি তুলে ধরে সমস্যার সমাধানের পথ নির্দেশনাও দিয়ে গেছেন৷ তিনি জল সংরক্ষণের নানা উপায়ের কথাও বলে গেছেন৷ কিন্তু রাষ্ট্রের কর্ণধাররা আজ পর্যন্ত জল সংকট ও জল সংরক্ষণ নিয়ে মাথা ঘামায়নি৷ সম্প্রতি মুডিজ রেটিং সংস্থা জল সংকট ও অর্থনীতিতে তার প্রভাব সম্পর্কে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ এবছর দেশের বেশ কিছু অংশে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি অতিক্রম করে গেছে৷ ফলে বেশ কিছু শহরে জল কষ্ট দেখা দিয়েছে এই পরিস্থিতিতে মুডিজ সতর্ক করে বার্র্ত দিয়েছে জলসংকট দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে৷
মুডিজের মূল্যায়নের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে--- জলের যোগান কম থাকলে কৃষি-শিল্পে সংকট দেখা দেবে৷ কৃষিতে ফলন কম হবে৷ ইস্পাত তাপ বিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন শিল্পোৎপাদন মুখ থুবড়ে পড়তে পারে৷ জোগান কমলেই খাদ্যপণ্য সহ অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়বে৷ মূল্যবৃদ্ধিও আরও মাথা চাড়া দেবে৷ ধনি দরিদ্রের মধ্যে আর্থিক বৈষম্য বাড়বে৷ মানুষের রোজগার কমবে৷ সামাজিক অস্থিরতা বাড়বে৷ কেন্দ্রীয় জলমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী ২০২১ সালে ভারতে প্রতিজনে জলের ব্যবহার ছিল ১৪৮৬ ঘন মিটার৷ ২০৩১সালে মাথাপিছু জলের পরিমাণ হতে পারে ১৩৬৭ ঘন মিটার৷ সাধারণ জলের যোগান ১৭০০-এর নীচে হলে তা জল কষ্ট, ১০০০ ঘন মিটার হলে জলের তীব্র আকাল৷ মুডিজ জল সংরক্ষণের পরিকাঠামো গড়তে লগ্ণি বাড়ানোর কথা বলেছে৷