বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবেই তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পরিণাম এই ঘটনা৷ তার জেরে এপ্রিল মাসে ভারতে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা বেড়েছে ৪৫ গুণ! জলবায়ুর চোখরাঙানির জেরে বিশ্ব জুড়ে তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১.২ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এমনই আশঙ্কার ছবি উঠে এসেছে ওয়ার্ল ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন (ডব্লিউডব্লিউএ)-এর সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে৷ তার জেরে জনজীবনে (বিশেষত যাঁরা দারিদ্রসীমার নীচে) বাড়বে দুর্র্ভেগ৷ মালয়েশিয়া, ব্রিটেন, সুইডেন, নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৩ জন বিজ্ঞানী রিপোর্টটি তৈরি করেছেন৷ গত দু’বছরের রিপোর্টেও এ বারের মতোই ভূপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির কার্যকারণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল৷ বিজ্ঞানীরা আবহাওয়ার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখেছেন শিল্পবিপ্লব পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় বর্তমানে তাপমাত্রা বেড়েছে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি৷ নতুন রিপোর্টে এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল বিশ্লেষণের জন্য পৃথক মাপকাঠি নির্ধারণ করা হয়েছিল৷ পশ্চিম এশিয়ায় (যেমন সিরিয়া, লেবানন, জর্ডন, প্যালেস্টাইন) মার্চ-এপ্রিলের তিন দিনের সর্র্বেচ্চ গড় তাপমাত্রা খতিয়ে দেখা হয়৷ ফিলিপিন্সে দৈনিক সর্র্বেচ্চ তাপমাত্রার ১৫ দিনের গড় পর্যালোচনা করা হয়েছে৷ তবে ভারত, মায়ানমার, লাওস-সহ দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষেত্রে এপ্রিলের গড় তাপমাত্রাকে বিশ্লেষণ করেছেন বিজ্ঞানীরা৷ দেখা গিয়েছে, গড় সর্র্বেচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে ১ ডিগ্রি৷ চলতি বছরের গ্রীষ্মেও ভারতে একই চিত্র ধরা পড়েছে৷ রিপোর্ট বলছে, ভারতে জলবায়ু পরিবর্তনের জোরালো ইঙ্গিত মিলেছে৷ তাপমাত্রা বেড়েছে ০.৮৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ তাপপ্রবাহের আশঙ্কা বেড়েছে ৪৫ গুণ৷ ভবিষ্যতে পশ্চিম এশিয়ায় তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের৷ ২০৪০ বা ২০৫০ সালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ২ ডিগ্রি ছুঁতে পারে৷ সাধারণ ভাবে এপ্রিল মাসে এশিয়ায় তাপমাত্রা এমনিতেই বেশি থাকে৷ গবেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক কালে তাপমাত্রা যে বিপুল হারে বাড়ছে (বিশেষত কিছু শহরে), তা নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রয়োজন৷ অত্যধিক তাপে যে সমস্ত প্রজাতির বিলুপ্তির আশঙ্কা রয়েছে, তাদের সুরক্ষার বন্দোবস্তেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ তা না হলে ব্যাহত হতে পারে জীববৈচিত্র৷
সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়