কার্বন-ডাই-অক্সাইড থেকে সৌরশক্তির সাহায্যে তরল জ্বালানি---বাঙালী বিজ্ঞানীর বিকল্পপথ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বিশ্ব উষ্ণায়ন কম করতে একমাত্র ভরসা গাছের পাতা৷ কারণ গাছের পাতা কার্বন-ডাই-অক্সাইড শুষে নিয়ে অক্সিজেন দেয়৷ সেই পদ্ধতি অনুসরণ করেই কার্বন-ডাই-অক্সাইড থেকে সৌরশক্তির সাহায্যে তরল জ্বালানি তৈরির দিশা দেখাচ্ছেন বাঙালি বিজ্ঞানী৷ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মারি কুরি ফেলো’, বর্ধমানের  কালনার বাসিন্দা৷ মতিয়ার রহমানের  সেই গবেষণাপত্র বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার’ পত্রিকার সাব জার্র্নল ‘নেচার এনাজি’-তে৷

গাছ সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় বাতাস থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও মাটি থেকে জল নিয়ে তৈরি করে শর্করা ও অক্সিজেন৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাজ আইআইটির প্রাক্তনী মতিয়ার জানাচ্ছেন,সেই প্রক্রিয়াই তাঁরা অনুসরণ করেছেন ‘কৃত্রিম পাতা’ তৈরি করে৷ ওই পাতা আসলে যন্ত্র৷ মতিয়ারের কথায়, ‘‘এই পাতা কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও জলের মিশ্রণে রেখে সুর্যালোক দিলেই তা তরল জ্বালানি ইথানল ও প্রপানল তৈরি করবে৷’’ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রেইসনার ল্যাব’-এ এই পরীক্ষা থেকে উদ্ভূত গবেষণা পত্রের প্রথম প্রণেতা মতিয়ার৷ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এরউইন রেইসনার মুখ্য প্রণেতা৷

মতিয়ার জানাচ্ছেন, এই ‘কৃত্রিম পাতা’টির এক প্রান্তে থাকবে সৌর কোষ ও অনুঘটক৷ যার থাকবে ন্যানো পার্টিকল, যা অনুঘটক হিসেবে হয়ে ইথানল ও প্রপানল তৈরি হবে৷ দ্বিতীয় প্রান্তে থাকবে ন্যানো পার্টিকল, যা অনুঘটক হিসেবে জলের জারণ ঘটিয়ে অক্সিজেন তৈরি করবে৷ প্রক্রিয়াগতভাবে যা সালোকসংশ্লেষের মতোই৷ রেইসনার ল্যাব কয়েক বছর ধরেই এ নিয়ে গবেষণা করছিল বলে জানাচ্ছেন মতিয়ার৷ তবে এই প্রথম সরাসরি কার্বন-ডাই-অক্সাইড থেকে তরল জ্বালানি তৈরি করা গিয়েছে৷