হার্টে একটা ফুটো নিয়েই যেখানে ভয়ে, দুশ্চিন্তায় একশেষ হতে হয়, সেখানে একটি নয়, দু’-দুটো ফুটো ছিল অর্চনা বাগের৷ চিকিৎসা পরিভাষায় যার পোশাকি নাম এরটেরিয়াল সেপ্ঢাল ডিফেক্ট এবং পেটেন্ট ডাকটাস আর্টেরিওসাস৷ সদ্য কিছুদিন ধরেই অস্বস্তিতে ছিলেন বছর ৩১-এর অর্চনা৷ বুক ধড়ফড় করছিল৷ সিঁড়ি ভাঙলে বা পরিশ্রম হলে বুকে চাপ অনুভব হচ্ছিল৷ মাঝে মাঝে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল৷ অল্প হাঁটাহাঁটি করলেও হাঁফ ধরছিল৷ বুকে ব্যথা নিয়ে আসেন নিউ আলিপুরের বি পি পোদ্দার হাসপাতালে৷ সেখানে ধরা পড়ে হার্টে দু’টি ফুটো রয়েছে৷ যাদের একটির ব্যাস ৩৩ মিলিমিটার ও অন্যটির ৩.৫ মিলিমিটার৷ রিপোর্টে বেশ ভয় পেয়ে যান অর্চনা৷ চিকিৎসক আদিল ওয়াসিল জানান, এমন ক্ষেত্রে ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়, যা মেজর সার্জারির মধ্যে পড়ে৷ এ কথা শুনেই নার্ভাস হয়ে পড়েন অর্চনা৷ তবে তাঁকে আশ্বস্ত করেন চিকিৎসকরাই৷ বি.পি. পোদ্দার হাসপাতালের আধুনিকতম ক্যাথল্যাবেই হয় অর্চনার চিকিৎসা৷ সেখানে ওপেন হার্ট সার্জারি করার প্রয়োজনই পড়েনি৷ বরং অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি যেভাবে হয়, সেভাবেই হাতের শিরার মধ্যে দিয়ে যন্ত্র প্রবেশ করিয়ে চিকিৎসা হয়৷ এতে রক্তপাত কম হয়৷ ব্যথাও প্রায় থাকে না৷ চিকিৎসার পরের দিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান অর্চনা৷ এই প্রসঙ্গে বি.পি. পোদ্দার হাসপাতালের গ্রুপ অ্যাডভাইজার সুপ্রিয় চক্রবর্তী বলেন, ‘সর্বাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবার মাধ্যমে রোগীদের সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্য প্রদানের দিকে আমরা প্রতি মুহূর্তে যত্নবান৷ তারই ফল এই ধরনের চিকিৎসা৷’
সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়