আনন্দমার্গের প্রবর্ত্তক তথা সদ্গুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী মানব সমাজের কল্যাণের জন্যে মানুষের জীবন চর্যায় অনেক কিছু সংযোজন করেছেন৷ তার সঙ্গে নবতর সংযোজন কৌষিকী নৃত্য৷ ১৯৭৮ সালের ৬ই সেপ্ঢেম্বর তিনি এই ‘কৌষিকী’ নৃত্য দেন৷ শিব সৃষ্টি করেছিলেন তাণ্ডব নৃত্য৷ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নূতন সৃষ্টি ‘কৌষিকী’ নৃত্য৷
‘কৌষিকী’ শব্দটার মধ্যে ‘কোষ’ শব্দটি রয়েছে৷ বিভিন্ন কোষ দিয়ে মানব শরীর তৈরী হয়েছে৷ এই কোষের উন্নতির জন্যে কৌষিকী নৃত্যের উদ্ভাবনা৷
এই নাচ নিয়মিত অভ্যাস করলে মহিলাদের ২২ প্রকার রোগের নিরাময় হয়৷ পুরুষরাও এই নাচ অভ্যাস করতে পারবে কিন্তু পুরুষদের তুলনায় মহিলারাই বেশী উপকৃত হবেন৷ এই কৌষিকী দিবস উপলক্ষ্যে আনন্দমার্গ কেন্দ্রীয় আশ্রমে মহিলা ও পুরুষদের জন্য ‘কৌষিকী’ ও তাণ্ডব নৃত্যের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়৷ (তাণ্ডব নৃত্য প্রতিযোগিতা কেবল পুরুষদের জন্যে)৷ এই প্রতিযোগিতায় কলকাতা, বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া প্রভৃতি ভুক্তি থেকে প্রতিযোগীরা যোগদান করেছিলেন৷ ওই সমস্ত ভুক্তিতে হরিপরিমণ্ডল গোষ্ঠীর উদ্যোগে আগেই প্রাথমিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল৷ ওই প্রতিযোগিতাগুলিতে প্রথম স্থানাধিকারীরা কলকাতায় অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন৷ প্রতিযোগিতায় প্রধান বিচারক ছিলেন আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত৷ এই প্রতিযোগিতা পরিচালনার মুখ্য দায়িত্বে ছিলেন আচার্য পরিতোষানন্দ অবধূত৷ সহযোগিতায় ছিলেন আচার্য ব্রহ্মদেবানন্দ অবধূত, আচার্য তথাগতানন্দ অবধূত, আচার্য নির্মলশিবানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ কীর্তিলেখা আচার্যা প্রমুখ৷
কলকাতা ভুক্তি থেকে লেক গার্ডেন, চেতলা, তিলজলা, সরশুনা ও গড়িয়া থেকে প্রতিযোগীরা যোগদান করেছিলেন৷