কেন বিশ্বকাপ খেলবে না মোহনবাগান

সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়

আই.এস.এল জয়ী মোহনবাগান কেন বিশ্বকাপ খেলবে না? গত সোমবার ক্লাবের তাঁবুতে প্রীতম কোটালদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়৷ উক্ত অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী  উপনিষদ ছিলেন৷ তিনিই প্রশ্ণ তুলেছেন কেন বিশ্বকাপ খেলবে না মোহনবাগান! তবে এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন৷ তাঁর মতে, সবুজ মেরুনের এই কৃতিত্ব শুধু বাংলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই৷ সারা বিশ্বে তা ছড়িয়ে পড়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ণ, এক দিন বিশ্বকাপ আসবে এই বাংলায়৷ অর্থাৎ,মোহনবাগান একদিন বিশ্বসেরা হবে৷

তিনি আরও জানান মোহনবাগান বিশ্বসেরা হবে৷ তারপরেই মমতার প্রশ্ণ, কেন বিশ্বের  বড় বড় দেশের বিরুদ্ধে খেলবে না মোহনবাগান? তাঁর প্রশ্ণ, ‘‘কেন মোহনবাগান একদিন ব্রাজিলের সঙ্গে খেলবে না? কেন পোল্যাণ্ডের সঙ্গে খেলবে না? কেন ইটালির সঙ্গে খেলবে না? খেলতে হবে৷ মোহনবাগান ক্লাবের আরও উন্নতির জন্য ৫০ লক্ষ টাকা দেবে রাজ্য সরকার৷ এর আগেও গত বছর ক্লাব সংস্কারের জন্য দিয়েছিলেন ৫০ লক্ষ টাকা৷ আইএসএল জিতে শহরে ফিরেই পরের মরসুমের প্রস্তুতি শুরু করে দিল মোহনবাগান৷ এ বারের আইএস.এল জয়ী কোচ জুয়ান ফেরান্দোর উপরেই ভরসা রাখল মোহনবাগান৷ পরের মরসুমেও দলের কোচ থাকবেন তিনি৷ ট্রফি জিতে শহরে ফিরে ঘুরিয়ে সে কথা জানিয়ে দিলেন দলের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা৷ তিনি জানিয়েছেন, জয়ী দলে কেন খামোকা বদল করতে যাবেন! বাগান সূত্রে খবর, আরও এক বছর কোচ থাকছেন ফেরান্দো৷ ২০২০ সালে আই.এস.এল ফেরান্দোকে কোচ করে আনে এফসি গোয়া৷ প্রথম মরসুমেই তাঁর অধীনে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলেছিল গোয়া৷ পরের মরসুমে তাঁর অধীনেই ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল গোয়া৷ কিন্তু সেই বছরই সবাইকে চমকে দিয়ে গোয়ার প্রধান কোচের  পদ ছেড়ে দিয়ে মোহনবাগানের কোচ হন ফেরান্দো৷ মরসুমের মাঝপথে দায়িত্ব নেওয়ার পরেও নিজের জাত চিনিয়েছিলেন এই স্প্যানিশ কোচ৷ এ বছর শুরু থেকেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মানসিকতা নিয়ে নেমেছিলেন ফেরান্দো৷ তাঁর কোচিংয়ে প্রতিটি ডার্বিতেই ইস্টবেঙ্গল হারিয়েছে মোহনবাগান৷ কোচ হিসাবে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলাতে ভালবাসেন তিনি৷ প্রতি মুহূর্ত সাইডলাইনে দাঁড়িয়ে ফুটবলারদের নির্দেশ দিতে দেখা যায় ফেরান্দোকে৷ দেখে বোঝা যায়, খেলার মধ্যে কতটা মগ্ণ তিনি৷ শেষ পর্যন্ত এ বার মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন ফেরান্দো৷ মোহনবাগানকে ৪৭টি ম্যাচে কোচিং করিয়েছেন ফেরান্দো৷ জিতেছেন ২৬টি ম্যাচে৷ ১০টি ম্যাচে ড্র ও ১১টি ম্যাচে হেরেছেন তিনি৷ তাঁর জয়ের শতাংশ ৫৫.৩২৷ তরুণ কোচের উপরেই ভরসা রাখছে মোহনবাগান৷ তাঁকেই দেওয়া হয়েছে পরের মরসুমের দায়িত্ব৷