কেরলের বিরুদ্ধে ব্যাটিং বিপর্যয় সত্ত্বেও জয় বাংলার

সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়

বিজয় হজারে ট্রফিতে পরবর্তী পর্বে যাওয়ার লড়াইয়ে এখনও টিকে থাকলেন সুদীপ কুমার ঘরামি-রা৷ মঙ্গলবার হায়দরাবাদে কেরলের বিরুদ্ধে বাংলা জেতে ২৪ রানে৷ জয়ের কাণ্ডারি প্রদীপ্ত প্রামাণিক ও সায়ন ঘোষ৷

কেরলের পেস বিভাগের সামনে শুরুতেই ব্যাটিং বিভাগের মেরুদণ্ড ভেঙে যায় বাংলার৷ ১০১ রানের মধ্যে সাত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যান সুদীপরা৷ চার রান করেন অধিনায়ক৷ আট রান অভিষেক পোড়েলের৷ ৯ রানে আউট হন অনুষ্টুপ মজুমদার৷ চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৩২ রান কণিষ্ক শেঠের৷ দ্রুত উইকেট হারানোয় নীচের সারির ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নিতে হয়৷ দলের বিপর্যয় রুখে ঢাল হয়ে দাঁড়ান প্রদীপ্ত প্রামাণিক৷ ৮২ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি৷ মারেন তিনটি চার ও পাঁচটি ছক্কা৷ ২৭ রান করেন কৌশিক মাইতিও৷ ২৪ রান সুমন্ত গুপ্তের৷ তাঁদের সৌজন্যে কেরলকে ২০৭ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলা৷

জবাবে তিন উইকেটে ৯৪ রান তুলে দিয়েছিল কেরল৷ ৭.৫ ওভার বল করে ৩৩ রানে পাঁচ উইকেট নেন সায়ন৷ দু’টি করে উইকেট মুকেশ কুমার ও কৌশিক মাইতির৷ এক উইকেট প্রদীপ্তের৷ দুরন্ত ব্যাটিংয়ের জন্য ম্যাচের সেরার পুরস্কার দেওয়া হয় প্রদীপ্তকেই৷ তিনি হাল না ধরলে ২০৬ রানও উঠত না বাংলার৷

ম্যাচের সেরা প্রদীপ্ত বলছিলেন, ‘‘আমি ব্যাট করতে যাওয়ার পরে ভাবছিলাম দলকে কী ভাবে এই জায়গা থেকে বার করব৷ রান না করলে এই ম্যাচ জেতা যেত না৷ তাই ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলিনি৷’’ যোগ করেন, ‘‘মারার বলই মেরেছি৷ চেষ্টা করছিলাম শেষ পর্যন্ত থাকার৷ যাতে শেষ ১০-১২ বলে কয়েকটা ছক্কা হাঁকাতে পারি৷ ইনিংসের শুরুতে দু’টি ছক্কা মেরেছি৷ স্লগ ওভারে মারলাম তিনটি ছয়৷’’ যোগ করেন, ‘‘সায়ন অসাধারণ বল করেছে৷ এই ম্যাচ জেতার নেপথ্যে আমার যতটা অবদান আছে, ঠিক ততটাই আছে সায়নের৷’’

বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল স্বস্তিতে৷ তাঁর কথায়, ‘‘অসাধারণ খেলল ছেলেরা৷ সকালের দিকে পিচে এতটা আর্দতা ছিল যে কেউ দাঁড়াতেই পারেনি৷ ব্যাটে প্রদীপ্ত ও বোলিংয়ে সায়ন নিজেদের প্রমাণ করল৷’’