কর্ণাটকে গণেশ উল্টালো : শপথ নিলেন কংগ্রেস-জে.ডি.এস জোটের নেতা এইচ. ডি. কুমারস্বামী

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

সদ্য সমাপ্ত কর্ণাটক বিধানসভায় বিজেপি Kumarswamiসরকারের শপথ নেওয়ার ৫২ ঘণ্টা পর গণেশ উল্টালো৷ সদ্য শপথ নেওয়ার দু’দিন পরেই ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন বিজেপির ৫২ ঘণ্টার মুখ্যমন্ত্রী বি.এস.ইয়েদুরাপ্পা৷ বলা বাহুল্য, ঠিক এভাবেই ১৯৯৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে ১৩ দিনের মাথায় আস্থাভোটে না গিয়ে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন৷

কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে ঘোষিত ২২২টি বিধানসভা আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার ছিল ১১২টি আসন৷ কিন্তু বিজেপি পেয়েছিল ১০৪টি আসন, কংগ্রেস-৭৮ ও জে ডি এস-৩৭, বি এস পি -১, অন্যান্য-২৷ কংগ্রেস, জে ডি এস, বিএসপি ও অন্যান্যরা জোট করে তাদের ঝুলিতে ১১৮ আসন দেখালেও রাজ্যপাল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার অজুহাতে বিজেপিকে সরকার গড়তে আহ্বান করেন বিধানসভায় ও ১৫ দিনের মধ্যে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দেন৷ বিজেপির আশা ছিল, বিপুল অঙ্কের টাকা ঘুষ দিয়ে বিরোধী এম.এল.এ-দের মধ্যে অন্তত ৮ জনকে কিনে নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাবে৷ ভিতরে ভিতরে এক এক এম.এল.এ পিছু নাকি ১০০ কোটি টাকার ঘুষ দেওয়ার জন্যে বিজেপি তৈরী হয়ে গিয়েছিল৷ কিন্তু কংগ্রেস বিজেপি’কে সেই সুযোগ দিল না৷ কংগ্রেসের সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বেঞ্চ (১৮ই মে) রায় দেয় ১৫ দিন নয়, শনিবার ১৯শে মে-তে বিজেপিকে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে৷ বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পা শেষ পর্যন্ত বিধানসভায় তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ সম্ভব নয় বুঝে ১৯ তারিখেই ইস্তফা দিলেন৷  এরপর নাটকের মোড় সম্পূর্ণ ঘুরে যায়৷ ২৩শে মে বুধবার অ-বিজেপি জোটের পক্ষে কর্ণাটকের সরকার গড়তে এগিয়ে আসেন জে ডি এস নেতা  এইচ ডি কুমারস্বামী৷ তিনি রাজ্যপালের কাছে শপথ গ্রহণ করেন৷ তিনি জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন৷ উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কংগ্রেসের জি. পরমেশ্বর৷ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব ও মায়াবতী, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, আর জে ডি নেতা তেজস্বী যাদব প্রমুখ৷ কর্ণাটন বিধানসভার অধ্যক্ষ হবেন কংগ্রেসের কে. আর. রমেশ৷ নতুন মন্ত্রী ও তাদের দপ্তর বণ্টন নিয়ে বিধানসভায় আস্থা বোােটর পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ আগামী ২৪শে মে হবে আস্থাবোট৷ লক্ষণীয়, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিতির চিত্র বিরোধী ঐক্যের ক্ষেত্রে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ৷