সামনে পাঁচরাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের ইঙ্গিত পেয়ে অবশেষে মোদী সরকার তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন৷ যদিও সিদ্ধান্ত কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কৃষকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করছে না৷ অর্থাৎ কৃষকরা মোদির কথায় বিশ্বাস করছেন না৷
প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত বলেন--- কৃষি আইন প্রত্যাহার হওয়ার সঙ্গে কর্ষকদের আর্থিক স্বনির্ভরতার কোন সম্পর্ক নেই৷ তিন কৃষি আইন সংসদে পাশ হওয়ার আগে কৃষকদের যে দুর্দশা ছিল, কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর তার কোন সুরাহা হবে না৷ কৃষককে আর্থিক স্বনির্ভরতা দেওয়াই কৃষিকাজের প্রধান লক্ষ্য৷ সেই লক্ষ্য পূরণের কোন সদিচ্ছা স্বাধীনতার ৭৪ বছরে কোন সরকারই দেখাইনি৷ আজ পর্যন্ত পঞ্জাবের মত দুয়েক একটা রাজ্য ছাড়া সারা দেশে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে সুসংবদ্ধ কৃষিকাজের কোন পরিকাঠামো সেভাবে গড়ে ওঠেনি৷ আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত বলেন---প্রাউটের পরিকল্পনায় সুসংবদ্ধ কৃষি কাঠামো গড়ে তুলতে হলে প্রতিটি কৃষিকেন্দ্রে কৃষিকাজের পাশাপাশি আটাকল,বেকারী, সুলভ বীজ বিতরণ কেন্দ্র, নিঃশুল্ক গাছের চারা বিতরণ কেন্দ্র, ডেয়ারী ফার্মিং, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট, বিদ্যালয় ও শিশুসদন প্রভৃতি থাকা প্রয়োজন৷ কৃষি আইন তৈরির প্রথমেই কৃষকদের আর্থিক স্বনির্ভরতার নিশ্চিততা দিতে হবে ও শিল্পের সমান মর্যাদা দিয়ে কৃষি উৎপাদিত পণ্যে সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করতে হবে৷ তবেই কর্ষকরা আর্থিক স্বনির্ভরতার মুখ দেখবে