ক্ষুদ্র রাজ্য শোষণের হাতিয়ার, জনগণের বোঝা প্রাউটনীতিভাবে ক্ষুদ্র রাজ্যের বিরোধী

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

সম্প্রতি একটি  খবরে প্রকাশ ২০২৪শে বিজেপি ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গকে ভেঙে একাধিক রাজ্য ঘটন করবে৷ প্রবীন প্রাউটিষ্ট শ্রীপ্রভাত খাঁ এপ্রসঙ্গে বলেন মূলনীতি অনুসারে প্রাউট ছোট ছোট রাজ্য ঘটনের বিরোধী৷ ভাগ করো ও ভোগ করো পুঁজিপতিদের নীতি৷ স্বাধীনতার পর থেকেই কেন্দ্রের বাঙালী বিদ্বেষী আচরণের শিকার বাঙালী৷ বর্তমান সরকার শাসন ক্ষমতায় আসার পর সেই বিদ্বেষ আরও বেড়েছে৷ রাজ্যের ন্যায্য প্রাপ্যটুকুও বাঙলা পাচ্ছে না৷ অথচ বাঙলার চা, কয়লা প্রভৃতি সম্পদ থেকে দিল্লী লক্ষ লক্ষ কোটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে৷ পাশাপাশি বাঙালী জনগোষ্ঠী যাতে ঐক্যবদ্ধ না হতে পারে তার জন্যে রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িক ও নানা জাত পাতে বাঙালীকে বিভাজন করার কেন্দ্রীয় ষড়যন্ত্র চলছে৷

শ্রী খাঁ বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের শোষণ বঞ্চনার হাত থেকে বাঙালী জন্যগোষ্ঠীকে রক্ষা করতে হলে সমস্ত প্রকার রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ ভুলে বাঙালীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে প্রাউটের বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে৷ আর্থিক মুক্তির অন্য কোন পথ নেই৷ তিনি বলেন প্রাউট ছোট ছোট রাজ্যের পরিবর্তে স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘটনে বিশ্বাসী৷ সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলি ঘটিত হবে অর্থনৈতিক সমস্যা, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা, জনগোষ্ঠীগত বৈশিষ্ট্য, সাংবেদনিক উত্তরাধিকার ও ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর  করে৷ প্রত্যেকটি অঞ্চল হবে আর্থিক দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও ভাষা-কৃষ্টি সাহিত্য সংসৃকতি সুরক্ষিত থাকার সুনিশ্চিততা থাকবে৷ প্রত্যেকটি অঞ্চলেই কর্ম সংস্থানের যথেষ্ট সুযোগ থাকবে৷ তাই কর্মের সন্ধানে নিজের অঞ্চল ছেড়ে বাইরে যাবার প্রয়োজন হবে না৷ পাশাপাশি অর্থের বহিঃস্রোত বন্ধ হবে৷ তাই ছোট রাজ্য নয়, রাজ্যভাগ নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বাঙালীর কন্ঠে আওয়াজ উঠুক বাঙলার রাজস্বের ১০০ ভাগই বাঙলার উন্নয়নের কাজে লাগাতে হবে৷ শ্রী খাঁ বলেন একমাত্র এই দাবীতে রাজ্য ভাগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বাঙালী ছাত্রযুব সমাজ গর্জে উঠুক৷