সবং পূর্ব চক্রের অন্তর্গত মালপাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৭ শে জুন, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ৫ম বর্ষ গল্প বলা প্রতিযোগিতা ও উৎসব৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটিকে তিনটি ভাগে ভাগ করে সম্পন্ন করা হয়৷ প্রথমেই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি জাম গাছের চারা ও একটি কাঁঠাল গাছের চারা রোপণ করা হয় সকলের উপস্থিতিতে৷ সংক্ষেপে গাছ লাগানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী তপন গাঙ্গুলী মহাশয়৷ আজকে রোপন করা দুটি চারা দত্তক নেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রী দুলাল চন্দ্র পাল ও অভিভাবক শ্রী গোবিন্দ প্রসাদ পাল৷ তাঁরা অঙ্গীকার করেন গাছগুলি কে সন্তান স্নেহে বড়ো করে তুলবেন৷
এরপরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ২৮ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে গল্প বলা প্রতিযোগিতা শুরু হয়৷ এবছরের গল্প শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার এর ’ অনুনাসিকতা’৷ প্রতিযোগিতা শেষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিদ্যাসাগরের মর্মর মূর্তিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য প্রদান করেন উপস্থিত সকলেই৷ ছোট্ট একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পুরস্কার ও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয় সেরা পাঁচ সহ সকল প্রতিযোগীর হাতে৷ বিদ্যালয়ের ছাত্রা কুহেলী মান্না, সঙ্গীতা পাল, ঋতিকা সাউ ও সুকৃতি জানা রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করে৷ প্রতিযোগিতার অন্যতম বিচারক দীপান্বিতা ব্যানার্জী ছাত্র ছাত্রাদের উদ্দেশ্যে কবিতা আবৃত্তি করেন৷ রাওয়া সংস্থার অন্যতম কর্মকর্তা শ্রী রঞ্জিত কুমার ঘোষ খুব সুন্দর ভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও গল্প বলা প্রতিযোগিতা বিষয়ে বুঝিয়ে বলেন৷ এছাড়াও তিনি একটি নীতি শিক্ষামূলক গল্প বলে শোনান৷ বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি শ্রী গৌতম রায় রাওয়া সংস্থার এই প্রচেষ্টার ভূয়ষী প্রশংসা করেন৷ তিনি মনে করেন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এই কর্মসূচি৷ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রী সুব্রত মাইতির উদ্যোগে ও অন্য সকল শিক্ষক শিক্ষিকার আন্তরিক প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠানটি সর্বাঙ্গ সুন্দর হয়ে ওঠে৷ অনুষ্ঠান টি সঞ্চালনা করেন শিক্ষক ও কবি শ্রী সুব্রত মাইতি মহাশয়৷