প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের কেন্দ্রীয় সচিব আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত বলেন--- প্রাউটের মতে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি অর্থনৈতিক উন্নতির মাপকাঠি নয়৷ মাথাপিছু আয় সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির কোন বৈজ্ঞানিক নির্ভরযোগ্য মাপকাঠি নয়৷ মাথাপিছু আয়কে উন্নয়নের মাপকাঠি ধরে জনসাধারণকে ভুল পথে চালানো হয়৷ মাথাপিছু আয়ে উন্নয়নের কোন সুস্পষ্ট চিত্র পাওয়া যায় না৷ মাথাপিছু আয়ের হিসেবে দেশের জনগোষ্ঠীর জীবন যাত্রার মানের প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায় না৷ মাথাপিছু আয়ের মাপকাঠি ধনবৈষম্য আড়াল করার পুঁজিপতি কৌশল৷ দুইজন ব্যক্তির একজনের আয় পাঁচহাজার ও অপরজনের আয় ৫০ হাজার ধরে গড় আয়ের হিসেবে প্রকৃত ব্যবধানটা আড়াল হয়ে যায়৷ মাথাপিছু আয়ের মাপকাঠিতে একজনের গড় আয়ের হিসেব পাওয়া যায়, কিন্তু দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর আর্থিক অবস্থার প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায় না৷
আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত বলেন---প্রাউট চায় প্রতিটি মানুষ যাতে জীবন ধারণের নূ্যনতম প্রয়োজনটুকু জোগাড় করতে পারে তারজন্যে প্রতিটি মানুষের হাতে ক্রয় ক্ষমতা দিতে হবে৷ ক্রয়ক্ষমতা আছে মানেই মানুষ তার আয়ের দ্বারা প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জিনিস জোগাঢ় করতে পারবে৷ আয় যাইহোক তার দ্বারা যদি প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনাকাটা করার ক্ষমতা থাকে তবেই আর্থিক স্বচ্ছল হিসেবে গণ্য হবে৷ তাই মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি অবাস্তব উন্নয়নের চিত্র ফুটে ওঠে ধনবৈষম্যের আকাশ-পাতাল পার্থক্যকে আড়াল করে৷ তাই ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধিই অর্থনৈতিক উন্নতির প্রকৃত মাপকাঠি৷