মেদিনীপুরে আমরা বাঙালীর ত্রয়োদশ কেন্দ্রীয় সম্মেলন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২৮-৩০ জুন’ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রদূত, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রথম আত্মবলিদানকারী মেদিনীপুরের সুসন্তান শহীদ ক্ষুদিরাম বসু,শিক্ষাগুরু-সমাজসংস্কারক মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামের সন্তান ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর,পৌরুষের বজ্রকৌস্তুভ-আপোষহীন সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন ও মাতঙ্গিনী হাজরা সহ মেদিনীপুর জেলার বীর বিপ্লবীগণের স্মরণে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন, ‘যাঁরা স্মরণীয়, যাঁরা বরণীয়’ নামাঙ্কিত এই পর্বে বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট, আমরা বাঙালীর কর্মী যাঁরা গত তিন বছরে পার্থিব জগৎ ত্যাগ করে চলে গেছেন তাঁদের স্মরণে ও করোনা মহামারী, বন্যার মত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে যাঁদের প্রাণ গেছে তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নীরবতা পালনের মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর শহরের লোধাস্মৃতি ভবনে ‘আমরা বাঙালী’ রাজনৈতিক সংগঠনের ত্রয়োদশ ত্রৈবার্ষিক বিশেষ কেন্দ্রীয় সম্মেলনের শুভ সূচনা করা হয়৷ সংগঠনের পক্ষে তপোময় বিশ্বাস জানান, ২৮,২৯ ও ৩০শে জুন ২০২৪ মেদিনীপুর শহরের লোধাস্মৃতি ভবনে তিনদিন ব্যাপী আমরা বাঙালীর ত্রয়োদশ ত্রিবার্ষিক কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আয়োজন করেছি৷ তিনি আরো বলেন- এই সম্মেলনের আহ্বায়ক শ্রী বকুল চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে  ২৮জুন ও ২৯ জুন এই দুইদিনেই অসম,ত্রিপুরা,মণিপুর,মেঘালয়,ঝাড়খণ্ড,আন্দামান,পশ্চিমবঙ্গের থেকে প্রায় চার শতাধিক সদস্য-সদস্যাদের উপস্থিত হয়েছে৷ এছাড়াও শাখা সংঘটন বাঙালী ছাত্র সমাজ, বাঙালী যুব সমাজ, বাঙালী কর্ষক সমাজ, বাঙালী শ্রমিক সমাজ, বাঙালী বিদ্বৎ সমাজ, ও মহিলা সংগঠন- বাঙালী মহিলা সমাজের প্রতিনিধিরাও যোগদান করেন৷ ‘আমরা বাঙালী’র ত্রয়োদশ ত্রৈবার্ষিক কেন্দ্রীয় সম্মেলনের মঞ্চ অলংকৃত করেন সভাপতি মাননীয় শ্রী মনতোষ কুমার মণ্ডল, সভাপতি মণ্ডলী মাননীয় শ্রী সুভাষ প্রকাশ পাল ও আহ্বায়ক শ্রী বকুল চন্দ্র রায়, মেদিনীপুরের বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট তথা আমরা বাঙালীর প্রবীণ নেতা শ্রী অসিত দত্ত, আমরা বাঙালী অসম রাজ্য সচিব শ্রী সাধন পুরকায়স্থ, ত্রিপুরা রাজ্য সচিব শ্রী গৌরাঙ্গ রুদ্রপাল মহোদয় ও এছাড়াও শ্রী সন্তোষ কুমার বিশ্বাস, শ্রী নৃপেন্দ্রনাথ সিনহা৷ সম্মেলনের অন্তিম দিনে ৩০ জুন  আগামী তিন বছরের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির ১৬জন সদস্য নির্বাচিত হন৷ কেন্দ্রীয় সচিব নির্বাচিত হন জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন শ্রীতপোময় বিশ্বাস, শ্রী দিব্যেন্দু চউধুরী৷