মেদিনীপুরে গল্প বলা প্রতিযোগিতা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে ২২শে ডিসেম্বর, শুক্রবার রেণেশাঁ আর্টিষ্টস এণ্ড রাইটার্স এ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখা আয়োজিত চতুর্থ বর্ষ চূড়ান্ত পর্যায়ের গল্প বলা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল৷ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩৯টি সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রারম্ভিক পর্যায়ে সফল ১১৭ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতা৷ কুমারী ধৃতি পালের গাওয়া প্রভাত সঙ্গীত ‘সবারে করি আহ্বান’ এর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা হয়৷ অতিথি বরণের পরে আজকের প্রতিযোগিতার অন্যতম বিচারক তথা খ্যাতনামা বাচিক শিল্পী শুভদীপ বসুর সংক্ষিপ্ত অথচ প্রাঞ্জল বক্তব্য সকলকে মুগ্ধ করে দেয়৷ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিক্ষাব্রতী ও সমাজসেবী শ্রী শুভেন্দু ঘোষ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারের অবদান বিষয়ে তথ্য নির্ভর বক্তব্য রাখেন৷ প্রতিযোগীদের চারটি বিভাগে ভাগ করে প্রতিযোগিতা শুরু হয়৷ মধ্যাহ্ণ ভোজের পর দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা ও বর্তমান প্রাকৃতিক পরিবেশ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন শ্রী রঞ্জিত কুমার ঘোষ মহাশয়৷ এরপরেই সকল প্রতিযোগীর হাতে গাছের চারা তুলে দেওয়া হয় তাদের বাড়িতে লাগানোর জন্য৷  খালিনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তা পাঠ করেন দীপান্বিতা ব্যানার্জী৷ এছাড়াও গড়বেতা দত্তোদ্ধারন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শতাব্দী বিশই ও সিঙ্গাঘাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্দীপন মাইতি মহাশয় শুভেচ্ছা বার্তা পাঠ করেন৷ গড়সেনাপত্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্নেহাশীষ চৌধুরী গল্প বলা প্রতিযোগিতার প্রাসঙ্গিকতা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন৷ চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থেকে সেরা যে ১৬জন প্রতিযোগী সফল হিসেবে বিবেচিত হয় তারা হল---সৃজা প্রামাণিক, আফিফা আহমেদ, সমৃদ্ধি মাতববর, অস্মিতা সরকার, মোহক মাইতি, সৌম্যদীপ দত্ত, অংশু মাইতি, সৌমাল্য চক্রবর্তী, উর্মি পাণ্ডে, অদ্রিজা মুখার্জী, বৃষ্টি চৌধুরী, ঝিমি ঘোষ, শ্রীপর্ণা সাহু, তোর্র্স শ্যামল,মোনালিসা দাস ও নন্দিনী প্রামাণিক৷ এদের মধ্যে থেকে উর্মি পাণ্ডে ও মোহক মাইতি মঞ্চ থেকে সকলের উদ্দেশ্যে ‘ক্যানিস গ্যাস’ গল্পটি বলে শোণায়৷

গল্প বলা প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে যাঁরা দায়িত্ব পালন করেন তাঁরা হলেন---নমিতা মাজি, পাঞ্চালী চক্রবর্তী,শুভদীপ বসু,সুজাতা চক্রবর্তী, সুদীপ্তা চক্রবর্তী মিশ্র, তনুশ্রী চক্রবর্তী লোহার, প্রাঞ্জলী দাস, শিউলি দাস, শিলা মহাপাত্র, মৌলি ভকত, দীপান্বিতা ব্যানার্জী ও কল্পনা গিরি৷ সেরা ১৬জন প্রতিযোগীকে শংসাপত্র ও মেমেন্টো তুলে দেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি ও বিচারকগণ৷ বাকি প্রতিযোগীদের মেডেল দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়৷