মনিপুর ভবনে গার্লস প্রাউটিষ্টের বিক্ষোভ - অপরাধের উৎস বন্ধের দাবি

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মনিপুরে নারকীয় নারী নির্যাতনের  প্রতিবাদে গার্লস প্রাউটিষ্টের পক্ষ থেকে মনিপুর ভবনে ২৭শে জুলাই বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় ও কয়েক দফা দাবি সম্মিলিত একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়৷ এইদিন অপরাহ্ণে গার্লস প্রাউটিস্টের কর্মীরা একটি ম্যাটাডোরে তিলজলা  কার্যালয়ে থেকে বার হয়ে গড়িয়া হাট মনিপুর ভবন মল্লিক বাজার মৌলালি হয়ে শ্যামবাজারে পৌঁছে সমাপ্ত হয়৷ কলকাতার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য রাখেন অবধূতিকা আনন্দ নিরুক্তা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দগতিময়া আচার্যা অনিতাচন্দ প্রমুখ৷ আনন্দনিরুক্তা বলেন দীর্ঘ দুই মাস ধরে মনিপুরে জাতি দাঙ্গা চলছে, অথচ দিল্লি মনিপুর ডবল ইঞ্জিন সরকারের কোন হেলদোল নেই৷ এত বড় নৃশংস একটা ঘটনা শাসকদলের মনে কোন দাগ কাটেনি৷ তিনি বলেন শুধু মনিপুর নয় গোটা দেশেই আজ নারী শিশুরা অমানবিক পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে৷ কোথাও কোন সুবিচার নির্যাতিতরা পায় না৷

রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের ওপর দোষারোপ করে চুপ করে যায়৷ অপরাধী দ্বিতীয় শিকাকের জন্য প্রস্তুতি নেয়৷ এই অবস্থা  অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত৷ অবধূতিকা আনন্দ গতিময়া বলেন অপরাধীদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত, তবে শুধু অপরাধীদের শাস্তি দিলেই সমাজ এই পাপ থেকে, এই অপরাধ থেকে মুক্ত হবে না৷ অপরাধের উৎস বন্ধ করা প্রয়োজন৷ ঘটনা ঘটে, কিছুদিন নানা স্তরে চিৎকার চেঁচামেচি হয় তারপর সব চুপ হয়ে যায়৷  আর একটা ঘটনা ঘটার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে৷ তিনি বলেন, অপরাধীদের কঠোর শাস্তি  দিতেই হবে, কিন্তু তাতেই সমাজ থেকে এই কদর্য নৃশংসতা দূর হবে না৷ মনে রাখতে হবে যুব সমাজকে এই কু-পথে ঠেলে দিচ্ছে অশ্লীল নগ্ণ শিল্প সাহিত্য চলচিত্র, নাচ, গান৷ অবিলম্বে অশ্লীল অসংস্কৃতিমূলক নাচ গান চলচ্চিত্র শিল্পসাহিত্য বন্ধ হওয়া উচিত৷ যুবসমাজকে এই কুপথে ঠেলে দেওয়ার পেছনে এই সমস্ত অশ্লীল নাচ গান চলচ্চিত্রের ভূমিকা অস্বীকার করার উপায় নেই৷ ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ভয় পেয়েছিল আনন্দমঠ, পথের দাবী, নীলদর্পণ উপন্যাস নাটক কে৷ কারণ এইসব নাটক উপন্যাস যুব সমাজকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতো, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে প্রেরণা দিত৷ আজ বিপরীতমুখী শিল্প-সাহিত্য চলচ্চিত্র যুব সমাজকে বিপথে ঠেলে দিচ্ছে নানা কুকর্মে প্রেরণা দিচ্ছে৷ অবিলম্বে এসব বন্ধ হওয়া উচিত৷ অনিতা বলেন অসংস্কৃতির পাশাপাশি আর্থিক দুরবস্থা ও বৈষম্য যুব সমাজকে অপরাধ জগতে ঠেলে দিচ্ছে৷ এর জন্য দায়ী শোষক পুঁজিপতিরা ও কেন্দ্রিত অর্থনৈতিক কাঠামো৷ তাই অর্থনৈতিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তনের প্রয়োজন৷ বিকেন্দ্রীত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করে প্রতিটি মানুষের হাতে জীবনধারণের নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্তির ক্রয়ক্ষমতা তুলে দিতে হবে৷ যুব সমাজকে বিপথ থেকে ফিরিয়ে আনতে হলে অর্থনৈতিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তন করতে হবে৷ তিনি বলেন এব্যাপারে প্রগতিশীল উপযোগতত্ত্ব তথা প্রাউটের বাস্তবায়নই একমাত্র পথ৷