মোদি সরকারের আমলে অবহেলিত মধ্যবিত্ত আয়ের অঙ্কে ২০০ বছর পিছিয়ে গেছে ভারত

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

২০৪৭ সালে ভারত উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে৷ অর্থনীতিতে ভারত এখনই তিন নম্বরে চলে আসবে৷ মোদি সরকারের আমলা, মন্ত্রী ও দলীয় অনুগামীদের ঢাক-ঢোল পিটিয়ে এই সব প্রচারের মাঝে বিভিন্ন আর্থিক সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে দেশের আর্থিক অবস্থার প্রকৃত চিত্রটি তুলে ধরছে৷ সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল লেবার অরগানাইজেশন (আই.এল.ও) তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখিয়েছে মোদির আমলে ২০২৩ সালে ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণী আয়ের অঙ্কে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর আমলে পিছিয়ে গেছে৷ আই.এল.ওর ওয়ার্ল্ড ইনইকুয়ালিটি ডেটার প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে ২০০৬ সালে বেতন বৃদ্ধির হার ছিল ৯.৩ শতাংশ,২০২৩ সালে কমে হয়েছে ০.১ শতাংশ মাত্র৷ ভারতীয় শ্রমিকরা ঘন্টা পিছু গড় আয়ে নীচের দিকে ৫ম স্থানে৷ প্রতিবেদনে দেখান হয়েছে ১৮২০ সালে দেশের জাতীয় আয়ের ১০.৮ শতাংশ আসত দরিদ্রতম মানুষের হাতে যা দেশের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ৷ মধ্যবিত্ত এক তৃতীয়াংশের ১৫ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১৪.৯ শতাংশ৷ ১৮২০ সালে জাতীয় আয়ের ৭৩.২ শতাংশ ধনিক শ্রেণীর হাতে ছিল৷ ২০২৩ সালে সেটাই বেড়ে হয়েছে ৭৭.৮ শতাংশ৷ এই পরিসংখ্যান স্পষ্ট করছে মোদির আমলে দেশে ধনি মধ্যবিত্তের আয় বৈষম্য বাড়ছে৷ আই এল ওর পরিসংখানে দেশে মধ্যবিত্তের গড় আয় ২লক্ষ ৬০হাজার টাকা৷ যার মাসিক আয় একটা সাধারণ মানের আইফোনের থেকে অনেক কম৷

আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা বলেন--- আর্থিক অব্যবস্থার বোঝা বইতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে আর ধনী আরও ফুলে ফেঁপে উঠছে৷ মোদি দেশবাসীকে স্বপ্ণ দেখাচ্ছে পর্বত চূড়ায় ওঠায়, কিন্তু মোদির অর্থনীতি ছুটছে সাগর পানে স্বখ্যাত সলিলে৷ শ্রীসিন্‌হা অভিযোগ করেন স্বাধীনতার প্রথম দিন থেকেই মধ্যবিত্ত গরিব মানুষকে অবহেলা করা হচ্ছে৷ মোদি আমলে সেটা ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে৷

শ্রী সিন্‌হা বলেন--- প্রাউটের বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ছাড়া সাধারণ মানুষের পরিত্রাণের অন্যপথ নেই৷ দেশে ধনীক শ্রেণীর এই নির্দয় শোষন থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্ত করতে অবিলম্বে সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে ৷ তিনি বলেন প্রাউট জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শোষিত জনগণের অনুকুলে আর্থিক ব্যবস্থার পরিকল্পনা দিয়েছে৷ তাই সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের উচিত প্রাউটের আর্থিক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের দাবীতে গণআন্দোলনে সামিল হওয়া৷