আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (ইন্টার ন্যাশনাল মনিটারি ফাণ্ড) ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিষ্টালিনা জর্জিয়েভা ভারতের অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন---২০২৫ সালে ভারতের অর্থনীতি দুর্বল থাকবে৷ তাঁর কথায় আমেরিকা অর্থনীতিতে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো করছে৷ তবে আগামী ২০শে জানুয়ারী ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্কিন বাণিজ্য নীতির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী এক অনিশ্চয়তা দেখা দেবে৷ ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি জানার জন্যে অপেক্ষা করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা৷ তবে ভারতের অর্থনীতি দুর্বল থাকার কোন কারণ জানায়নি জর্জিয়েভা৷
বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন পুঁজিবাদী ছেঁদো অর্থনীতির সঙ্গে জনগণের কোন সম্পর্ক নেই৷ তারা যে তিমিরে আছে সেই তিমিরেই পড়ে থাকবে৷ তিনি বলেন আই এম এফ যা বলেছে তার সঙ্গে ধনকুবেরদের লাভ লোকসানের সম্পর্ক আছে৷ জনগণ শোষিত হতেই থাকবে৷ পুঁজিবাদী অর্থনীতির হাল যত খারাপ হবে শোষিত জনগণের ওপর শোষণ আরও তীব্র হবে৷ যতদিন না প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্বের ভিত্তিতে বিকেন্দ্রিত পথে স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠছে ততদিন জনগণের আর্থিক শোষনের হাত থেকে মুক্তি নেই৷
তিনি বলেন অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো গড়ে উঠবে ভৌগোলিক অবস্থান, জল হাওয়া, প্রাকৃতিক পরিবেশ মানুষের ভাষা-কৃষ্টি-সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি নৃতাত্ত্বিক পরিচরকে ভিত্তি করে৷ লক্ষ্য থাকবে প্রতিটি মানুষের হাতে ক্রয়ক্ষমতা তুলে দেওয়া যাতে তার সুস্থ জীবন ধারণের সব উপকরণ সংগ্রহ করতে পারে৷
ফ্যাসিষ্ট পুঁজিপতি শোষকের লক্ষ্য থাকে ভৌতিক সম্পদ লুণ্ঠনের সাথে সাথে স্থানীয় ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতিকে ধবংস করে সেখানে হীন রুচির নিম্নমানের সঙ্গীত চলচিত্র ইত্যাদি প্রবেশ করিয়ে ছাত্র যুব সমাজকে মানসিক দিক দিয়ে পঙ্গু করে দেওয়া যাতে তারা শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে না পারে৷
সারা বিশ্বেই আজ ফ্যাসিষ্ট পুঁজিপতি শোষকরা এইভাবেই শোষণ চালিয়ে যাচ্ছে৷ এর একমাত্র প্রতিষেধক প্রাউটের বিকেন্দ্রিত অর্থনীতির বাস্তবায়ন৷
শ্রী খাঁ বলেন জর্জিয়েভার কথায় স্পষ্ট শুধু ভারতের অর্থনীতিই নয়, পুঁজিবাদেরও বিনাশকাল ঘনিয়ে আসছে মানুষকে প্রাউটবরণ করে নেবার জন্যে তৈরী হতে হবে৷