মুড়ি-মুড়কির মতো এ্যান্টিবায়োটিক নেওয়ার কুফল এ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স, বিপদে আন্দামানের জনজাতি

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বর্তমানে চিকিৎসকদের কাছে চিন্তার কারণ বিশ্বজুড়ে এ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণুর বাড়বাড়ন্ত৷ সাম্প্রতিক একটি গবেষণা সেই চিন্তা বহু গুন বাড়িয়ে দিল৷ শুধু আধুনিক জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত বসবাসের এলাকাতে নয়, এ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ পৌঁছেছে আধুনিক ওষুধপত্রের ছোঁয়া না লাগা আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের জনজাতির বসবাসের এলাকাতেও৷ গবেষকের সন্দেহ ওইসব জনপদে  এ্যান্টিবায়োটিক রেজিষ্ট্যান্সের মূলে পরিযায়ী পাখীর যোগ৷ পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় ও সেন্ট্রাল আইল্যাণ্ড এগ্রি  কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিয়ারি) যৌথ গবেষণায় দেখা গিয়েছে৷ আন্দামানে অন্ততঃ পাঁচটি প্রজাতির মুরগীর শরীরে বাসা বেঁধেছে এমন সব ব্যাকটেরিয়া, যাকে সাধারণ এ্যান্টি বায়োটিকে কাবু করা মুশকিল৷

এর মধ্যে নিকোবরী ও দেশী---অন্তত এই দুই প্রজাতির মুরগী পালন করেন ওখানকার জনজাতিরা৷ তাদের মধ্যে এখনো এ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার চালু হয়নি৷ তাই বিষয়টি গবেষকদের ভাবাচ্ছে৷ গত সপ্তাহে ‘ফন্টিয়াস জার্নাল’ নামে একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকায় গবেষকদের অভিজ্ঞতার বিবরণগত ছাপা হয়েছে৷  গবেষকদের মতে, বিষয়টি এই জন্যই চিন্তার সে মুরগীর শরীরে এ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাক্টেরিয়ার সন্ধান মেলার অর্থ, তাদের প্রতিপালক মানুষের সমাজে ও থাকতেই পারে এ্যান্টিবায়োটিক রেজিট্যান্স৷ অথচ ওদের জীবনে এখনও এ্যান্টিবায়োটিক ঢোকেইনি৷ তাহলে রেজিট্যান্স কি করে তৈরী হল? এ্যান্টিবায়োটিক ঘন ঘন অব্যবহারেই জন্ম নেয় প্রতিরোধ৷ আন্দামানে এক্ষেত্রে গবেষকরা পরিযায়ী পাখীর তত্ত্ব তুলে ধরেছেন৷ বিষয়টি নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষনায় প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন গবেষকরা৷