নাতনিদের জব্দ করতে পাঁচকোটির সম্পত্তি থেকে মাত্র পাঁচহাজার টাকার সম্পত্তি দিলেন এক বৃদ্ধ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

পাঁচ কোটির বেশি মূল্যের সম্পত্তির মালিক ছিলেন বৃদ্ধ৷ সঙ্গে আরও প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার বাড়ি ছিল তাঁর নামে৷ তাঁর মৃত্যুর পর সন্তানদেরই সে সম্পত্তি পাওয়ার কথা৷ কিন্তু মৃত্যুর আগে উইল করে সম্পত্তি লিখে দিয়ে গেলেন বৃদ্ধ৷ বঞ্চিত করলেন পাঁচ নাতনিকে৷ অভিযোগ, শেষ জীবনে ওই নাতনিরা তাঁকে দেখতে যাননি৷

ফিরেও তাকাননি তাঁর দিকে৷ তাই পাঁচ কোটির সম্পত্তি থেকে তাঁদের মাত্র পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে গিয়েছেন বৃদ্ধ৷ঘটনাটি ব্রিটেনের৷ দাদুর এই ‘বঞ্চনা’র বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই নাতনিরা৷ তবে তাতে বিশেষ সুরাহা হয়নি৷ বিচারক বৃদ্ধের সিদ্ধান্তেই সম্মতি দিয়েছেন৷

জানিয়েছেন, বৃদ্ধ যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, ওই নাতনিরা তাঁকে দেখতে যাননি৷ তাই তিনি বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন৷ সম্পত্তি ভাগাভাগির ক্ষেত্রে তাই বৃদ্ধের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত৷ তিন বার তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন৷

অভিযোগ, সে সময়ে এই পাঁচ নাতনি তাঁকে এক বারের জন্যেও দেখতে যাননি৷ বৃদ্ধের তিন পুত্রের পাঁচ কন্যাকেই সম্পত্তি থেকে ‘বঞ্চিত’ করেছেন তিনি৷ পাঁচ জনকে দিয়েছেন ৫০ পাউন্ড করে৷ ভারতীয় মুদ্রার হিসাবে যার মূল্য পাঁচ হাজার টাকা৷ সম্পত্তির বাকি অংশ ও বাড়িটি তিনি বাকি দুই পুত্রের নামে লিখে দিয়ে গিয়েছেন৷

বৃদ্ধের এমন আচরণে হয়তো তাঁদের নাতনিদের অসুবিধা হয়েছে অনেকটাই৷ সেই বৃদ্ধ এখন ইহ জগতেও নেই৷ কিন্তু তিনি যে কাজটা করে গেছেন তা সত্যিই একটা মনুষ্যতত্বের কাজ৷ কারণ প্রতিটি মানুষের বোঝা উচিত যে মানুষ বৃদ্ধ হলেই তাঁর সব কিছু শেষ হয়ে যায় না৷ প্রতিটি বৃদ্ধের দরকার একটু যত্ন সে তাঁর কাছে পয়সা থাক বা না থাক৷ মা-বাবা দাদু-দিদিমাকে কোন দিন তাচ্ছিল্য করা উচিত হয়৷ সম্পত্তির ভাগ পাবার জন্য নয় মানুষ হিসেবে তাদের পাশে থাকা উচিত৷ কারণ নাতি নাতনিরাই তো তাদের ভবিষ্যত, তাদের কষ্টের উপার্জন৷ টাকা পয়সা তাদের ভবিষ্যৎ নয়৷