প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব আচার্য প্রসুনানন্দ অবধূত এক সাক্ষাৎকারে বলেন ---বর্তমানে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক জীবনের সর্বক্ষেত্রে চরম অবক্ষয় ও বিপর্যয় দেখা দিয়েছে৷ সামাজিক বিভাজন,অর্থনৈতিক দূরাবস্থায় মানুষ আতঙ্কিত ও দিশাহারা৷ এর অন্যতম কারণই হচ্ছে মানুষ আধ্যাত্মিকতা বিমুখ ভোগ সর্বস্ব জীবন ধারায় অভ্যস্ত হয়ে গেছে৷ স্বার্থলোভ, ক্ষমতার মোহ মানুষকে গ্রাস করেছে৷ মানুষ যেন দিন দিন বিবেক বোধ-বুদ্ধি হারিয়ে অমানুষ হয়ে যাচ্ছে, অনৈতিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে৷ রাজনৈতিক নেতাদের দাদাগিরি ও পুঁজিবাদের সীমাহীন শোষণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে৷ দেশের ৭০ শতাংশের বেশী সম্পদ মুষ্টিমেয় কয়েকজন ধনকুবের কুক্ষিগত করে নিয়েছে৷ এই অবস্থায় মানুষ চোখের সামনে অন্ধকার দেখছে৷
আচার্য প্রসুনানন্দ অবধূত বলেন---তবু হতাশ হওয়ার কিছু নেই, নব্যমানবতাদের উদার ও বাস্তবধর্মী জীবনাদর্শই সব হতাশা ও অন্ধকার দূর করে দেবে ও একটি সুসন্নিবদ্ধ সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলবেই৷ মানব জাতির ভবিষ্যৎ গৌরবোজ্জ্বল হবেই৷ তিনি বলেন---সামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব প্রাউট নব্যমানবতাবাদের ওপর আধারিত৷ তাই এই বিপর্যয় সাময়িক৷ মানুষকে নব্যমানবতাবাদের উন্নত ও বৈপ্লবিক চিন্তাধারায় অনুপ্রাণিত করতেই আমরা দিল্লী সেক্টরের ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত সেমিনারের আয়োজন করেছি৷ তিন দিনের এই সেমিনারগুলোয় আধ্যাত্মিক চর্চা,
বৌদ্ধিক চর্চা, সামাজিক সংঘটন, বিজ্ঞান ও আরো নানা বিষয়ে আলোচনা হবে৷ প্রাউট দর্শনে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে দৃঢ় সংযোগ ঘটেছে৷ তাই ড় তোলা৷ বর্তমান ভেদ-বিদ্বেষ ও সামাজিক বিভাজনের প্রাউটিষ্টদের রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রাউটিষ্টদের ভূমিকা হবে সমগ্র মানব সমাজকে তথা সমগ্র জীব সমাজকে একসূত্রে আবদ্ধ করা৷ তিনি বলেন---প্রথম স্তরের সেমিনারগুলো হবে কয়েকটি করে ডায়োসিসকে নিয়ে৷ এরপর ক্রমশঃ জেলা, ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত সেমিনারের আয়োজন করা হবে৷