নদীয়া জেলার শিমুরালী আনন্দমার্গ স্কুলে অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

অধ্যক্ষা অবধূতিকা আনন্দ বিভূকনা আচার্যার উদ্যোগে ও আনন্দমার্গের সদস্য-সদস্যা বৃন্দ, বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাবৃন্দের ঐকান্তিক সহযোগিতায় শিমুরালী আনন্দমার্গ স্কুল প্রাঙ্গনে নদীয়া জেলা ও তৎপার্শ্ববর্ত্তী জেলাগুলি থেকে আগত ৩০০ শতাধিক ভক্তের উপস্থিতিতে ভোর ছ’টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৬ঘন্টা ব্যাপী মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘‘বাবা নাম কেবলম্‌’’ অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনের আধ্যাত্মিক তরঙ্গে মধুর সুরে আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে৷ কীর্ত্তনের মধুময় সুরে আকৃষ্ট হয়ে ভক্তবৃন্দ কীর্ত্তন অঙ্গনে উপস্থিত হতে থাকেন৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা গুরুপূজা স্বাধ্যায় হয়৷ ভক্ত সমাবেশে আলোচনায় আনন্দমার্গের বিশিষ্ট সন্ন্যাসী আচার্য প্রিয়াকৃষ্ণানন্দ অবধূত বলেন-বিশ্বজুড়ে মানব সভ্যতার এই সার্বিক সঙ্কট মুহূর্তে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী প্রদত্ত সর্বাত্মক আদর্শ ও দর্শনের প্রয়োগিক অনুশীলনের পথ ধরে সবাইকে এগিয়ে চলা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই...৷ প্রাউটের মুখপত্র ‘‘নোতুন পৃথিবীর’’ সহকারী সচিব আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, কীর্ত্তন মানব জীবনে অপরিহার্য অঙ্গ৷ যাঁরা ভক্ত তাঁরাই কীর্ত্তন করেন৷ সবাইকে ভক্ত হতে হবে৷ ভক্তের হৃদয় পরমপুরুস বাস করেন৷ তাই হৃদয়কে বড়  করে নিতে পারলে, তিনি সর্বদা সঙ্কট মুক্ত৷ এ প্রসঙ্গে তিনি একটি সুন্দর গল্পেরও অবতারনা করেন...৷

আনন্দমার্গের প্রবীনা সন্ন্যাসিনী অবধূতিকা আনন্দ করুণা আচার্যা পরমারাধ্য মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী সাথে তাঁর ভক্তের লীলা প্রসঙ্গে গল্প বলে উপস্থিত সবাইকে মুগ্দ করেন৷

অনুষ্ঠানে প্রভাতসঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিচালনা করেন--- শ্রী শুভদীপ হাজারী, হরলাল হাজারী, অবধূতিকা আনন্দগতিময়া আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ অভীষা আচার্যা, আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত, আচার্য সত্যসাধনানন্দ অবধূত, শ্রীমতি রাজলক্ষ্মী বণিক, শ্রীমতী কাজল সরকার, শ্রীকৌশিক সরকার, আরও অনেকে৷

উক্ত অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে একটি বর্ণাঢ্য কীর্ত্তন পরিক্রমাও শহরের জনবহুল পথ ধরে শিমুরালী শহর পরিক্রমন করে৷ মানুষ রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে ভক্তি আপ্লুত হৃদয়ে তা উপভোগ করেন৷

অনুষ্ঠান শেষে পাঁচ শতাধিক জনকে নারায়ন সেবায় আপ্যায়িত করেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা অবধূতিকা আনন্দবিভূকণা আচার্যা৷