নীলকন্ঠ দিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

অর্থ ও ক্ষমতার প্রলোভন যখন কাজ হয়নি তখন অপপ্রচার-কুৎসা, ভয় দেখানো, সংঘটিতভাবে আক্রমন ও হত্যা করা, মিথ্যা মামলায়  জেলবন্দী করে রাখা ইত্যাদি শতচেষ্টা করেও যখন দেখা গেছে আনন্দমার্গের গতিকে স্তব্ধ করা যাচ্ছে না৷ তখন স্থির হয় আনন্দমার্গের স্রষ্ঠাকেই যদি পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলা যায় তাহলেই আনন্দমার্গের ধবংস সম্ভব৷ এই মনে করে পাপীরা জেলবন্দী আনন্দমূর্ত্তিজী ১২ই ফেব্রুায়ারী,২৩ সালে ওষুধের নাম করে পাটনা বাঁকিপুর সেন্ট্রাল জেলের ডাক্তার রহমতুল্লাহকে দিয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বিষ প্রয়োগে আনন্দমূর্ত্তিজীর শরীরে প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়া শুরু হয়৷ কিন্তু পাখীদের উদ্দেশ্যে বিষ প্রয়োগ করে৷ বিষপ্রয়োগে আনন্দমূর্ত্তিজী শরীরে প্রতিক্রিয়া শুরু হয়৷ কিন্তু পাপীদের উদ্দেশ্য তাতেও সিদ্ধ হয়নি৷ এই জঘন্যতম ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের দাবীতে সারা বিশ্বে ব্যাপক আন্দোলন সংঘটিত হয়৷ আনন্দমূর্ত্তিজী নিজেও তৎকালীন বিহারের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের রাষ্ট্রপতিকে ব্যক্তিগতভাবে চিঠি লেখেন তদন্ত কমিশন নিয়োগের জন্য কিন্তু কেউ কোন কর্ণপাত করেনি৷ যখন কিছুই হচ্ছে না তখন আনন্দমূর্ত্তিজী নিজেই বিষপ্রয়োগের প্রতিবাদে ১৯৭৩ সালের ১লা এপ্রিল থেকে জেলের মধ্যেই অনশন শুরু করেন ও টানা পাঁচ বছর চার মাস দুই দিন চলতে থাকে, যতদিন না তিনি জেল থেকে ছাড়া পান৷ অবশেষে পাটনা  হাইকোর্টের রায়ে আনন্দমূর্ত্তিজীর বিরুদ্ধে আনীত ঘটনা মিথ্যা প্রমাণিত হয় ও তিনি নিঃশর্ত জেল থেকে মুক্তি পান৷ ১৯৭৮ সালের ২রা আগষ্ট জেল থেকে  বেরিয়ে তিনি দীর্ঘ অনশন ভঙ্গ  করেন৷ নাম সংকীর্ত্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, বর্ণাঘ্যদান, স্বাধ্যায়, নীলকন্ঠ দিবসের  তাৎপর্য ও নারায়ণ সেবার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়৷