প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ এক আলোচনা সভায় নির্বাচনী বণ্ড প্রসঙ্গে বলেন এটা শাসক শোষকের অশুভ আঁতাত, সবকা বিকাশের পরিপন্থী৷ এখানে শাসক ও শোষকের পরস্পরের স্বার্থজড়িত৷ এই আর্থিক বোঝাপড়ার সঙ্গে সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক কল্যাণের কোন সম্পর্ক নেই৷ পুঁজিপতিরা রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থ দেয় তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে৷ রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে যে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে সেটা ওই ধনকুবেরাই যোগায়৷ প্রতিদানে তারা শাসকের কাছ থেকে আর্থিক মুনাফা লোটার সুযোগ পায়৷ শ্রী খাঁ বলেন--- নির্বাচনী বণ্ডের এখনও পর্যন্ত যতটুকু প্রকাশ পেয়েছে তাতে একটা জিনিস পরিষ্কার নির্বাচনী বণ্ডের সিংহভাগ টাকা কেন্দ্রীয় শাসকদল বিজেপির ঘরে গেছে৷ প্রতিদানে শাসকদল তাদের মুনাফা লোটার বরাদ্দ পাইয়ে দিয়েছে৷ তিনি বলেন---স্বাধীনতার আগেও দেশীয় পুঁজিপতিরা ব্রিটিশ শাসককে শক্তি যোগাত৷ এখন তারা দেশীয় শাসককে শক্তি যোগায় প্রতিদানে জনসাধারণের পকেট কেটে মুনাফা লোটার সুযোগ পায়৷ প্রধানমন্ত্রীর ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ রাজনৈতিক বুলিমাত্র৷ পুঁজিবাদের তোষণ আর সর্বসাধারণের বিকাশ একসঙ্গে হয় না৷ শ্রী খাঁ আরও বলেন--- মানুষের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অচেতনতার সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে৷ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পুঁজিপতি গোষ্ঠীর এই আর্থিক লেনদেনই সমাজে বৈষম্যের কারণ৷ অর্থের বিনিময়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করছে পুঁজিপতিগোষ্ঠী৷ জনগণের নির্বাচিত শাসক পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত দাস৷ পরিশেষে শ্রী খাঁ বলেন--- বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে শতছিদ্র৷ আর সেই ছিদ্রপথেই রাষ্ট্র ক্ষমতার মাথায় চড়ে বসেছে পুঁজিপতি গোষ্ঠী৷ রাষ্ট্র কাঠামোয় আমূল পরিবর্তন আনতে হবে৷ নতুবা পুঁজিবাদী আগ্রাসন আরও ভয়ঙ্কর হবে৷ গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থাতেও পরিবর্তন করতে হবে৷ জনগণকে সামাজিক-অর্থনৈতিক রাজনৈতিক বিষয়ে সচেতন করতে হবে৷ তবেই সবকা সাথ সবকা বিকাশের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে৷
সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়