প্রবীন প্রাউটিষ্ট শ্রীপ্রভাত খাঁ হুগলী শ্রীরামপুরে এক আলোচনায় বলেন---জি-২০ এর এলাহি আয়োজন আর বাহারে প্রচারের আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি গুলি৷ বছরে ২কোটি চাকরী, ১০০স্মার্ট সিটি, সুইসব্যাঙ্কের কালো টাকা উদ্ধার, সবার অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ, দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসন, প্রতিটি বাড়ী পাকা৷ কিন্তু মানুষ পেল কি? বেকারত্ব বৃদ্ধি, সুইসব্যাঙ্কে কালো টাকা বৃদ্ধি, ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারী, নোটবন্দী-১০০-এর উপর মানুষের মৃত্যু, ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারী, কোভিডে গঙ্গায় মৃত দেহ..৷
মানুষ আজ নির্দয়ভাবে শোষিত৷ শোষিত মানুষের সমস্ত প্রকার উন্নয়ন বন্ধ৷ আইন করে কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার হরণ করার চেষ্টা চলছে৷ এই অবস্থায় নিপীড়ণ ও শোষণের অবসান ঘটাতে জীবন ধারণের নূ্যনতম প্রয়োজন পুর্ত্তির দাবীতে শোষিত মানুষের সামনে আন্দোলনে নামা ছাড়া অন্য কোন পথ নেই৷ এই আন্দোলন হবে শোষিত জনগণের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের আন্দোলন৷
শ্রী খাঁ বলেন একমাত্র মানবতা বিরোধীরা এই আন্দোলন থেকে দূরে থাকবে৷ প্রাউটের আদর্শকে সামনে রেখে শুরু হবে এই আন্দোলন৷ প্রাউট সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সর্বপ্রকার শোষণের বিরোধী৷ কিন্তু আজ যেহেতু দারিদ্র্যই প্রধান সমস্যা তাই অর্থনৈতিক শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রামকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে৷ ধর্মমত, জাতি,বর্ণ সবরকম বিভেদ বিদ্বেষ দূরে সারিয়ে রেখে প্রতিটি শোষিত নিপীড়িত জনগোষ্ঠীকে এই আন্দোলনে সামিল হতে হবে৷
শ্রী খাঁ বলেন এই আন্দোলন সমস্ত প্রকার অর্থনৈতিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক ও মানস অর্থনৈতিক শোষণের বিরুদ্ধে৷ আন্দোলনের পাশাপাশি জনগণের সার্বিক কল্যাণের দিকে নজর দিয়ে উপযুক্ত ও বাস্তব কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে৷ প্রাউট জনকল্যাণমূলক সমাজ ঘটন করতে ছয়টি বিষয়ের ওপর বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে৷ বিষয়গুলি হলো স্থানীয় জনগণের সার্বিক কর্মসংস্থান, বহির্পণ্যের আমদানি এড়িয়ে চলা, স্থানীয় ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করা, যোগাযোগের মাধ্যম হবে স্থানীয় ভাষা ও স্থানীয় সামাজিক অর্থনৈতিক দাবী৷ পরিশেষে শ্রী খাঁ বলেন সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলন কোন একটি অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকবে না৷ পুঁজিপতিরা আজ মারাত্মক অর্থনৈতিক শোষকে পরিণত হয়েছে৷ তাদের শোষণের জাল বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছে৷ তাই এই শোষণ রোধ করতে বিশ্বের প্রতিটি দেশে এই আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে হবে৷