জাতীয় গেমসের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় এ রকম সমস্যায় পড়তে হবে ভাবতে পারেননি সোনিয়া৷ উত্তরাখণ্ডের খেলোয়াড়ের গতি বা পরিবেশ নিয়ে সমস্যা ছিল না৷ কিন্তু তাঁর কাছে যে জুতো এসেছিল তা মাপে বড়৷ কারণ, তিনি যে মাপের জুতো পরেন তা বাজারে অমিল৷ বাধ্য হয়ে নিজের ছেঁড়া জুতো পরেই ১০ হাজার মিটার দৌড়লেন সোনিয়া৷ ব্রোঞ্জ জিতে চমকে দিলেন৷
২৩ বছরের খেলোয়াড়কে উত্তরাখণ্ডের অন্যতম সেরা প্রতিভা বলা হচ্ছে৷ বাকি ক্রীড়াবিদদের মতো তাঁর কাছেও সরকারের দেওয়া ‘কিট’ এসেছিল৷ কিন্তু সেখানে জুতোর মাপ ছিল বড়৷ সোনিয়ার পায়ের মাপ তিন৷ তবে বড় সংস্থাগুলি এত ছোট জুতো বানায় না৷ চার থেকে আট নম্বর মাপের জুতো বানায়৷ সেই মুহূর্তে আর একটি নতুন জুতো আনা সম্ভবও ছিল না৷ বাধ্য হয়ে নিজের ক্ষয়ে যাওয়া জুতো পরেই দৌড়ে নামেন সোনিয়া৷ সোনা হয়তো জিততে পারেননি৷ তবে তাঁর ব্রোঞ্জ পদকটিকেই সোনার সমান বলে ধরছেন কোচেরা৷ দৌড় শেষ হওয়ার পর ক্রীড়া দফতরের কর্তার নির্দেশে সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে গিয়েছেন সঠিক মাপের জুতো৷
ছোটখাটো দৌড় তবু ঠিক আছে৷ কিন্তু ২৫টি ল্যাপ ক্ষয়ে যাওয়া জুতো পরে দৌড়নো কঠিন কাজ৷ সোনিয়া বলেছেন, ‘দূরপাল্লার দৌড়বিদদের কাছে সঠিক জুতো খুব দরকারি জিনিস৷ তবে ওদের কাছে আমার মাপের জুতো ছিল না৷’ ফলে সোনিয়া হয় ছেঁড়া জুতো পরে দৌড়তে হত৷ না হলে জাতীয় গেমস থেকে নাম তুলে নিতে হত৷ তিনি প্রথমটিই বেছে নিয়েছেন৷ হতাশ করেননি৷
পরিবারের সমর্থনের জেরেই আজ এই জায়গায় পৌঁছেছেন সোনিয়া৷ হরিদ্বারে নিজের বাড়ি ফেরার আগে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি কী? নিজের পদক তুলে ধরে সোনিয়া বলেছেন, ‘এটাই সবচেয়ে বড় উপহার বাবা-মায়ের জন্য৷’