গত ১০ই মার্চ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর বিভিন্ন মন্দিরে ঘুরে ঘুরে পুজো দিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একটি মন্দির থেকে বেরিয়ে বিরুলিয়া বাজারে গাড়ীতে ওঠার সময় মুখ্যমন্ত্রী যখন একটি পা গাড়ির ভিতরে রেখেছেন, সেই সময় হঠাৎ করে গাড়ির দরজা বন্ধ হয়ে যায়৷ মুখ্যমন্ত্রীরপায়ে, কোমরে ও কাঁধে চোট লাগে৷ ওই সময় মুখ্যমন্ত্রীর কাছাকাছি কোনো পুলিশকর্মী ছিল না৷
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন চার পাঁচ জন ব্যষ্টি জোর করে গাড়ির দরজা বন্ধ করতে গেলে এরূপ ঘটনা ঘটে৷ তাঁর অভিযোগ ওই সময় এস.পি বা কোন পুলিশ কর্মী তাঁর আশে পাশে ছিল না৷ নির্বাচনবিধি চালু হয়ে যাওয়ায় পুলিশ প্রশাসন এখন নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে৷ গত কালই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ডি.জি বীরেন্দ্রকে সরিয়ে নীরজ নয়ন পাণ্ডে৷ ডি.জির দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷ ওইদিনই সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী আহত হন৷ স্বভাবতই পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ণ উঠছে৷
মুখ্যমন্ত্রীকে তৎক্ষণাৎ স্থানীয় ডাক্তার দিয়ে পরীক্ষা করানো হয় ও তাকে সঙ্গে সঙ্গে কলকাতায় আনার ব্যবস্থা করা হয়৷ রাত্রি ৮টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীকে পিজি হাসপাতালে উডর্বান ওয়ার্ডের সাড়ে বারো নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়৷
‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় সচিব শ্রী বকুলচন্দ্র রায় মুখ্যমন্ত্রী আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ও তাঁর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করেন৷ তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন৷