নোট বাতিল ব্যর্থ জাল টাকা তিনগুণ বেড়েছে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২০১৬ সালের ৮ই নভেম্বর রাত ৮ ঘটিকায় প্রধানমন্ত্রী এক দূরদর্শন সম্প্রচারে বলেন---দেশে যখন সংকট দেখা দেয়, তখন অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়৷ ওইদিনই মধ্যরাতে প্রধানমন্ত্রী ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল বলে ঘোষনা করেন৷ নোট বাতিলের কারণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন---এই নোট বন্দি কালো টাকা ধবংস করা একমাত্র হাতিয়ার৷

তারপর আট বছর অতিক্রান্ত৷ প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন জনসভায় তার কৃতিত্বের তালিকায় রাখেন স্বচ্ছ ভারত, চন্দ্রযান, কশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির কথা কিন্তু ভুলেও নোটবন্দির প্রসঙ্গ আর তোলেন না৷ কারণ মোদির সরকার জানেন নোটবন্দি সরকারের ব্যর্থতার তালিকায় একেবারে প্রথম সারিতে থাকবে৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আগেই জানিয়ে দিয়েছে, বাতিল নোটের ৯৯ শতাংশ জমা পড়ে গেছে৷ এবার নোটবন্দি যে কালোটাকা উদ্ধারে চূড়ান্ত ব্যর্থ তা লোকসভায় সরকারের দেওয়া প্রতিবেদনেই স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ এক সংসদের প্রশ্ণের উত্তরে অর্থমন্ত্রক জানান--- গত তিন বছরে উদ্ধার হওয়া জাল টাকার পরিমাণ তিনগুণ বেড়েছে৷ অর্থমন্ত্রকের এই প্রতিবেদন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্যে নকল নোটের তালিকায় যেমন রয়েছে ২০০০ হাজার নোট, আবার ৫০০ টাকার নোটও রয়েছে৷

অর্থমন্ত্রকের প্রতিবেদনে জানা যায় ২০২১ সালে ৫০০ টাকার নোট ধরা পড়ে ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৫৩০টি৷ ২০২৩ সালে তা বেড়ে ৯ লক্ষের বেশী হয়৷ ২০০৮ সালে ৫০০ টাকার জাল নোট ধরা পড়ে সাড়ে আট লক্ষের বেশী৷ এই সময় ২০০০ টাকার নোট বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ২০২১ সালে ৮৭ হাজার ৯৮০টি৷ ২০২৪ সালে তিন বছরে তা বেড়ে হয়েছে ২ লক্ষ ৬০ হাজার৷

প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৫০দিনের মধ্যে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে৷ নোট বাতিলের পর অনেক ৫০ দিন চলে গেছে, মধ্য বিত্তের অবস্থা ফেরেনি৷ বিপরীতে জাল টাকা ও কালো টাকার পরিমাণ বেড়েই চলেছে৷ অর্থাৎ মোদি সরকার নোট বাতিল করেও কালো টাকার অর্থনীতিকে দমন করতে পারেনি৷ বরং মনে হয় বাজার অর্থনীতির পাশাপাশি কালোটাকার অর্থনীতিও চলছে৷