‘নোতুন পৃথিবী’র কর্তব্যবন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে সত্যলোকে সত্যশিবানন্দ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

 

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনি্বার্সালের বাংলা মুখপত্র ‘নোতুন পৃথিবী’র সঙ্গে সব কর্তব্য বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে সত্যলোকে পাড়ি দিলেন আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী ভোর তিন ঘটিকায় ৭৮ বছর বয়সে৷ বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন৷ রোগের প্রকোপ বাড়লেও তিনি কখনই দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে বিশ্রাম নেননি৷ বাংলায় প্রবাদ আছে---‘‘কাজ করতে করতে মর’৷ প্রাউট প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলতেন--- ‘‘তোমরা মরতে মরতেও কাজ করে যাবে৷’’ প্রবক্তার সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে গেলেন বিশিষ্ট প্রাউট তাত্ত্বিক আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত৷

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত তাঁর সংঘ জীবনের  শুরুর কয়েক বছর ছাড়া আজীবন প্রাউটিষ্ট ইয়ূনি্বার্সালের বাংলা মুখপত্র নোতুন পৃথিবীর সম্পাদক ছিলেন৷ মাঝে দুই দশক নোতুন পৃথিবীর বাইরে ছিলেন৷ তবে  সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাননি৷ সম্পাদকের দায়িত্বেই ছিলেন জলপাইগুড়ি থেকে প্রকাশিত বাঙলা মুখপত্র ‘আলোর পথের নিশানা’ পত্রিকার৷

আদর্শে অটল, কর্তব্যে অবিচল এক অনুপম ব্যষ্টিত্বের অধিকারী ছিলেন আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত৷ দায়িত্বে অবহেলা ও সন্ন্যাস জীবনের নিয়ম নিষ্ঠার কোন খাম্‌তি ছিল না জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত৷ শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনই তাঁকে কর্তব্য থেকে বিরত করতে পারেনি৷

আচার্য প্রবুদ্ধানন্দ অবধূতের স্মৃতিচারণ ---

‘নোতুন পৃথিবী’ খবরের কাগজ ছিল বাবার ব্রেকফাস্ট৷ অর্থাৎ নোতুন পৃথিবী পত্রিকা ছাপানো হয়েছে দেখে বা জেনে তারপর বাবা জলখাবার খাওয়ার সম্মতি দিতেন৷ তাই অধিকাংশ সময় সত্যশিবানন্দদা ও অন্যান্য কর্মীবৃন্দ সারারাত জেগে লিখে মোমবাতি বা লম্ফ বা হ্যারিকেন জ্বালিয়ে  কম্পোজ করে নিয়মিত ‘নোতুন পৃথিবী’ ম্যানুয়ালী ছাপিয়ে পত্রিকা হাতে নিয়ে বাবার কোয়াটার্স লেকগার্ডেন মধুমালঞ্চে পৌঁছাতেন৷ ‘নোতুন পৃথিবী’ না হলে বাবা হয়ত অভুক্ত থাকবেন৷ তাই অনেক সময় নিজে অভুক্ত থেকে সারারাত জেগে পত্রিকা ছেপে লেকগার্ডেনে পৌঁছে দিতেন৷ দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি নিষ্ঠা ও ঐকান্তিক গুরুভক্তির এমন নিদর্শন খুব কমই পাওয়া যায়৷

সেযুগে না ছিলো অফসেট ছাপাখানা, না ছিল বৈদ্যুতিক সাজসরঞ্জাম৷ অর্থবলও তেমন ছিলনা৷  ছিল এক মাত্র আদর্শ, কর্ম-নিষ্ঠা, কর্তব্য পরায়ণতা ও অবিচল ভক্তি৷ এরই জোরে সেদিন সমস্ত রকম প্রতিকূল পরিবেশকে উপেক্ষা করে প্রতিদিন প্রভাতে বাবার হাতে নোতুন পৃথিবী পৌঁছে দিতেন৷  এমনি প্রেরণাদায়ক কর্মী ছিলেন সকলের প্রিয় আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত৷ আজ তিনি পাড়ি দিয়েছেন উর্দ্ধলোকে, আশ্রয় নিয়েছেন বাবার স্নেহময় ক্রোড়ে৷ তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি ও মুক্তি কামনা করি৷ জানাই তাঁকে সশ্রদ্ধ প্রণাম৷ প্রাউটিষ্ট ইয়ূনি্বার্সালের বাংলা মুখপত্র ‘নোতুন পৃথিবী’র সঙ্গে সব কর্তব্য বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে সত্যলোকে পাড়ি দিলেন আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী ভোর তিন ঘটিকায় ৭৮ বছর বয়সে৷ বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন৷ রোগের প্রকোপ বাড়লেও তিনি কখনই দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে বিশ্রাম নেননি৷ বাংলায় প্রবাদ আছে---‘‘কাজ করতে করতে মর’৷ প্রাউট প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলতেন--- ‘‘তোমরা মরতে মরতেও কাজ করে যাবে৷’’ প্রবক্তার সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে গেলেন বিশিষ্ট প্রাউট তাত্ত্বিক আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত৷

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত তাঁর সংঘ জীবনের  শুরুর কয়েক বছর ছাড়া আজীবন প্রাউটিষ্ট ইয়ূনি্বার্সালের বাংলা মুখপত্র নোতুন পৃথিবীর সম্পাদক ছিলেন৷ মাঝে দুই দশক নোতুন পৃথিবীর বাইরে ছিলেন৷ তবে  সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাননি৷ সম্পাদকের দায়িত্বেই ছিলেন জলপাইগুড়ি থেকে প্রকাশিত বাঙলা মুখপত্র ‘আলোর পথের নিশানা’ পত্রিকার৷

আদর্শে অটল, কর্তব্যে অবিচল এক অনুপম ব্যষ্টিত্বের অধিকারী ছিলেন আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত৷ দায়িত্বে অবহেলা ও সন্ন্যাস জীবনের নিয়ম নিষ্ঠার কোন খাম্‌তি ছিল না জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত৷ শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনই তাঁকে কর্তব্য থেকে বিরত করতে পারেনি৷

‘নোতুন পৃথিবী’ খবরের কাগজ ছিল বাবার ব্রেকফাস্ট৷ অর্থাৎ নোতুন পৃথিবী পত্রিকা ছাপানো হয়েছে দেখে বা জেনে তারপর বাবা জলখাবার খাওয়ার সম্মতি দিতেন৷ তাই অধিকাংশ সময় সত্যশিবানন্দদা ও অন্যান্য কর্মীবৃন্দ সারারাত জেগে লিখে মোমবাতি বা লম্ফ বা হ্যারিকেন জ্বালিয়ে  কম্পোজ করে নিয়মিত ‘নোতুন পৃথিবী’ ম্যানুয়ালী ছাপিয়ে পত্রিকা হাতে নিয়ে বাবার কোয়াটার্স লেকগার্ডেন মধুমালঞ্চে পৌঁছাতেন৷ ‘নোতুন পৃথিবী’ না হলে বাবা হয়ত অভুক্ত থাকবেন৷ তাই অনেক সময় নিজে অভুক্ত থেকে সারারাত জেগে পত্রিকা ছেপে লেকগার্ডেনে পৌঁছে দিতেন৷ দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি নিষ্ঠা ও ঐকান্তিক গুরুভক্তির এমন নিদর্শন খুব কমই পাওয়া যায়৷

সেযুগে না ছিলো অফসেট ছাপাখানা, না ছিল বৈদ্যুতিক সাজসরঞ্জাম৷ অর্থবলও তেমন ছিলনা৷  ছিল এক মাত্র আদর্শ, কর্ম-নিষ্ঠা, কর্তব্য পরায়ণতা ও অবিচল ভক্তি৷ এরই জোরে সেদিন সমস্ত রকম প্রতিকূল পরিবেশকে উপেক্ষা করে প্রতিদিন প্রভাতে বাবার হাতে নোতুন পৃথিবী পৌঁছে দিতেন৷  এমনি প্রেরণাদায়ক কর্মী ছিলেন সকলের প্রিয় আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত৷ আজ তিনি পাড়ি দিয়েছেন উর্দ্ধলোকে, আশ্রয় নিয়েছেন বাবার স্নেহময় ক্রোড়ে৷ তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি ও মুক্তি কামনা করি৷ জানাই তাঁকে সশ্রদ্ধ প্রণাম৷